এক রাতের ভাঙলো তৃণমূলের বোর্ড
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূলের বোর্ড গঠন হলেও,এক রাতের নিমেষ ভাঙলো সেই বোর্ড,
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূলের বোর্ড গঠন হলেও,এক রাতের নিমেষ ভাঙলো সেই বোর্ড, পদত্যাগ করল আটজন জয়ী তৃণমূলের পঞ্চায়ের সদস্য, কাঠগড়ায় অঞ্চল সভাপতি এবং ব্লক সভাপতি বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের আন্দারথোল গ্রাম পঞ্চায়েত। এইবারে পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের নিরিখে মোট ২০ সংখ্যা আসন বিশিষ্ট এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০টি জেতে তৃণমূল, ৬ বিজেপি,২ নির্দল এবং ২সিপিআইএম।পরে একজন নির্দল প্রার্থী যোগদান করে তৃণমূল শিবিরে যার ফলে তৃণমূলের মোট আসন সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ১১।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এই আন্দারথোল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে থাকলেও, প্রধান পদ তপশিলা উপজাতির জন্য সংরক্ষিত হওয়ার জন্য তৃণমূল এর জয়ী কোন প্রার্থী না থাকলে বিজেপির প্রধান পদ পায়। উপপ্রধান পদ পায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে।আর ঠিক এইখানেই শুরু হয় বিতর্ক, তৃণমূলের আটজন জয়ী প্রার্থীদের দাবি, জেলার নির্দেশ-কে অমান্য করে ভোটাভুটি করে অন্য একজনের উপপ্রধান পদ পেয়ে যায়। কিভাবে জেলা নেতৃত্বের নির্দেশকে অমান্য করে এভাবে উপপ্রধান পদ অন্য কেও পায়।
এর জন্য জয়ী তৃণমূলের আটজন সদস্য কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি এবং ব্লক সভাপতিকে। তাদের দাবি বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের সভাপতি অংশুমান ব্যানার্জি সেচ্ছাচারিতা করে উপপ্রধানের পদ সিপিআইএম এবং বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করে অন্য কাউকে পায়িয়ে দিয়েছে। এর প্রতিবাদ স্বরূপ ৮ জন জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দলীয় পতাকা নামিয়ে এবং অঞ্চল অফিস তালা দিয়ে পদত্যাগ পত্র দান করলেন। এর ফলে আন্দারথোল গ্রাম পঞ্চায়েত বিরোধী বিজেপির দখলে চলে গেল। এ যেন এক বিরল দৃশ্য শাসক তৃণমূলের বোর্ড গঠন হয়েও এক রাতের নিমেষেই ভেঙে গেল সেই বোর্ড।