নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত গৃহশিক্ষক
তান্ত্রিক পরামর্শ দিয়েছিল ঘোর অমাবশ্যায় নাবালিকার রক্ত বস্ত্র সহ মনসার থানে পুজো দিলেই খুলবে বিয়ের রাস্তা
বিয়ে হচ্ছিল না তান্ত্রিক পরামর্শ দিয়েছিল ঘোর অমাবশ্যায় নাবালিকার রক্ত বস্ত্র সহ মনসার থানে পুজো দিলেই খুলবে বিয়ের রাস্তা। রক্তবস্ত্র জোগাড় করতে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে রক্তবস্ত্র সংগ্রহও করেছিল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের গৃহশিক্ষক কিন্তু শেষরক্ষা হলনা।সপ্তাহ খানেক আগে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত গৃহশিক্ষক সবুজ দে কে জেরা করে সেই তান্ত্রিকের খোঁজ পায় পুলিশ।ধর্ষণে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গতকাল রাতে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থানার নারায়নগঞ্জের মাঝিপাড়া গুরুপদ মাঝি নামের ওই তান্ত্রিককে গ্রেফতার করে পুলিশ ধৃত তান্ত্রিককে আজ বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।
সপ্তাহ খানেক আগে নিজের নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বিষ্ণুপুর থানা গ্রেফতার করে স্থানীয় গৃহশিক্ষক সবুজ দে কে। ধৃত গৃহশিক্ষককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে ওই গৃহশিক্ষক দাবী করে বেশ কিছুদিন ধরেই সে বিয়ে করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। কিন্তু বয়স ক্রমশ বেড়ে গেলেও কিছুতেই বিয়ে হচ্ছিল না। বিয়ের রাস্তা পরিস্কার করে দিতে পারেন বেলিয়াতোড়ের নারায়নগঞ্জ গ্রামের তান্ত্রিক গুরুপদ মাঝি স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে সম্প্রতি তার কাছে হাজির হন গৃহশিক্ষক সবুজ দে।
অভিযোগ তান্ত্রিক সবুজ দে কে পরামর্শ দেয় কালী পুজোর রাতে নাবালিকার রক্ত বস্ত্র নিয়ে মনসার থানে পুজো দিলেই হবে কেল্লাফতে। এরপর সবুজ দে নিজের নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সেই ছাত্রীর রক্ত একটি সাদা কাপড়ে সংগ্রহ করে নেয়। কিন্তু এর পরে পরেই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহশিক্ষক সবুজ দে গ্রেফতার হয়ে যাওয়ায় আর পুজো দেওয়া হয়নি। এদিকে সবুজ দে কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ওই তান্ত্রিকের খোঁজ পায় পুলিশ। গতকাল সেই তান্ত্রিককে গ্রেফতার করে আজ বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। ধৃত তান্ত্রিক তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।