সর্বমঙ্গলা মন্দিরে শারদীয়া দুর্গোৎসবের সূচনা হলো
রীতি মেনে ঘট প্রতিষ্ঠা মধ্য দিয়ে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে শারদীয়া দুর্গোৎসবের সূচনা হলো
রীতি মেনে প্রতিপদে ঘট প্রতিষ্ঠা মধ্য দিয়ে সোমবার বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে শারদীয়া দুর্গোৎসবের সূচনা হলো। সেই সঙ্গে রাঢ় বাংলাতেও পুজোর শুভ সূচনা হলো। এদিন সকালে পূজার্চনার পর মন্দির থেকে মায়ের রূপোর ঘট নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। কৃষ্ণসায়ের থেকে জল ভরে ঘোড়ার গাড়িতে করে ঘট নিয়ে বাদ্যযন্ত্র সহকারে শোভাযাত্রা করে মন্দিরে আনা হয়। এদিনের ঘট উত্তোলন উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রায় বহু মানুষ অংশ নেন। এরপর এই ঘট প্রতিষ্ঠা করা হয় মায়ের মন্দিরে। ঘট নিয়ে মন্দিরে ঢোকার পর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এবং চণ্ডীপাঠ করে বর্ধমান শহরের দুর্গোৎসবের শুভ সূচনা হয়।
সর্বমঙ্গলা মন্দিরের ট্রাষ্ট বোর্ডের সম্পাদক সজ্ঞয় ঘোষ বলেন, সর্বমঙ্গলা মন্দিরের ঘট উত্তোলনে প্রাচীন ঐতিহ্যপূর্ণ একটি প্রথা। রাঢ় বঙ্গের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা তাই তাকে রাঢ়েশ্বরীয় বলা হয়। পুজোর সূচনা মানে সমগ্র রাঢ় বঙ্গের পূজার সূচনা হলো। এইদিন উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ,জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা,পৌরসভার চেয়্যা্রমেন পরেশ চন্দ্র সরকার, বিধায়ক খোকন দাস,সহ অনান্যন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, মঙ্গলা মায়ের মন্দিরে ঘট প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে বর্ধমানে শারদ উৎসবের শুভ সূচনা হলো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়এর আমলে শারদ উৎসব ইউনেস্কো স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি গোটা বিশ্বের সামনে শারদ উৎসবকে তুলে ধরেছেন, তাই বাঙালি হিসেবে তার গর্ববোধ হচ্ছে। পাশাপাশি তার গলায় শোনা গেল সম্প্রীতির বার্তা, তো মুসলিম নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষ এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন, তিনি বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার।