সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য বার্তা

ভাতার : আমিরুল ইসলাম -“মোরা একই বৃন্তে, দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান”হিন্দু তার নয়ন মনি মুসলিম তার প্রাণ”, কাজী নজরুল ইসলামের লেখা কবিতা আজ যেন ফুটে উঠল ভাতারে।আজ সকালে ভাতার বাজারের বাসিন্দা রানা চক্রবর্তী অসুস্থ হয়ে পড়েন।রবি শংকর চক্রবর্তী তাঁর বন্ধু ভাতারের বলগোনার সাদ্দাম শেখ কে ফোন করে।সাদ্দাম তাকে একটি গাড়ি করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসছিল রাস্তাতেই মারা যায় রানা চক্রবর্তী।

এরপর তাকে  বাড়ি নিয়ে যায়।রানা চক্রবর্তীর আদি বাড়ি মঙ্গলকোটের কাঁকড়া গ্রামে।পড়াশোনা সূত্রে রানা দীর্ঘদিন রয়েছে ভাতার বাজারে।মা বাবা অসুস্থ তাই সাদ্দাম সেক এর সহযোগিতায় ১০-১২ জন মুসলিম ভাই সহ তাদের বেশ কয়েকজন আত্মীয় রানা চক্রবর্তীর মৃতদেহ সৎকার্য করা হয় ভাতার বাজারের একটি শ্মশানে।

রানা চক্রবর্তীকে কাঁচা বাসের খাটে যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল চারদিকে চার মুসলিম যুবক ।শেখ সাদ্দাম ,শেখ টিয়া আলম, শেখ শফিকুল ইসলাম ও নজরুল হক এ ছবি যেন অনন্য ছবি যা ভাতার বাজারের মানুষকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য বার্তা দিয়ে গেল ।তাকে নিয়ে আসা হয় ভাতার বাজারের একটি শ্মশানে। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। উল্লেখ্য তার বাড়ি মঙ্গলকোট এলাকায় হাওয়াই, তাদের গ্রামের  কোন মানুষজনকে তারা পায়নি।তাই মুসলিম ভাইদের সহযোগিতায় শেষ কাজ সম্পন্ন হলো রানা চক্রবর্তীর।

বামশোর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল হক জানান,যেখানে হিন্দু-মুসলিম নিয়ে গোটা দেশে এক রাজনীতি শুরু হয়েছে ।সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভাতারের এই আজকের ছবিটা ভারতবর্ষকে এক অন্যরকম শিক্ষা দিয়ে যায়।শেষ কাজে হেল্প করছে মুসলিম বাড়ির ছেলে শেখ সাদ্দাম, টিয়া আলম, নজরুল হক, আশিক ইকবাল সঞ্জু, সফিকুল ইসলাম মন্ডল, কবিরুল ইসলাম, জামাল হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *