সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ
রাজীব মন্ডল (নিজস্ব প্রতিনিধি) :বর্ধমান -সত্যি কি বিচিত্র এই দেশ। আজ মনে হছে শুধু বিচত্র নয় মহা বিচিত্র এই দেশ। ধীরে ধীরে করোনা ভারতবর্ষের বুকে থাবা বসাতে শুরু করে দিয়েছে মহামারি আকার নিয়ে। ব্লক,পঞ্চায়েত,জেলা,রাজ্য জুড়ে শুধু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। কি ভাবনা চিন্তা ,কি পরিকল্পনা কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের বোঝা খুব কঠিন আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মনে হছে। যখন ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০০-৫০০ এর থেকেও কম তখন করা ভাবে লক ডাউন রাখা হলো। কিন্তু সংখ্যা যখন ২৪ ঘন্টায় ৬৫০০ এর বেশি তখন সব কিছু খোলা।
চলছে মাক্স ছাড়া ঘোড়া ঘুড়ি ,চলছে চায়ের দোকান পাড়ার মোর এ চুটিয়ে আড্ডা। সন্ধ্যা ৭ টা থেকে কার্ফ্যু জারি করেছিলেন প্রধান মন্ত্রী। আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সেটা মানুষের কথা ভেবে তুলে দিলেন। কিন্তু যা ভেবে হয়তো করলেন রেজাল্ট হল তার উল্টো।বিকাল ৫টার পরথেকে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছেলে মেয়েরা জমিয়ে আড্ডা মারছে রাত্রি ১০ টা পর্যন্ত।কারোর কোনো ভ্রূক্ষেপ নেয়। অথচ যখন করোনার উৎপাত কম ছিল তখন পুলিশ রীতিমতো করা হাতে দমন করেছিল।
এবার আসি পরিযায়ী শ্রমিকদের কথায় -রাজ্যে আসছে বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা দলে দলে। নেয় তাদের উপযুক্ত কোয়ারেন্টাইন এ রাখার ব্যবস্থা। যারফলে তারা চলে যাচ্ছে অনায়াসে নিজের বাড়িতে। তার পরই শুরু হচ্ছে টেনশন ,এলাকায় করোনা।এলাকা সিল ,কোয়ারেন্টাইন জোন আরও কত কি। সত্যি কি বিচিত্র আমাদের দেশ ?সব খোলা বন্ধ শুধু ধর্মীয় স্থান। যেখানে মানুষ তার পরিবারের জন্য ,সন্তানের জন্য মঙ্গল কামনায় মাথা ঠুকতে পারবে। দেশ কে করোনা মুক্ত করার জন্য ভগবানের কাছে ,আল্লার কাছে ,গডের কাছে প্রার্থণা করতে পারবে। চায়ের দোকানে সোস্যালডিসটেন্স মানা হচ্ছে কিনা সবাই জানেন ,আড্ডার জায়গায় মানা হচ্ছে কিনা তাও জানেন।কিন্তু শুধু সমস্যা মন্দির মসজিদ গির্জায়। সত্যি বিচিত্র দেশ।আগামী কি অপেক্ষায় আছে জানি না,নতুন সূর্য উঠবো কিনা জানি না ,কিন্তু নতুন সূর্য বাংলা কে দেশ বাসিকে দেখানোর জন্য মহামারী আটকানোর পরিকল্পনা করুক কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। নতুন সূর্য উঠলে তবে ভোট ,তবে রাজনীতি ,তবে লড়াই। আসুন মহামারী আটকে এক সাথে পৃথিবীকে দেখায় সত্যি কি বিচিত্র দেশ আমাদের।