শুভেন্দুর কটাক্ষ ছবি আঁকলেন, কিনবে কে? গৌতম-সুদীপ্ত দু’জনেই জেলে

 জাতীয় নির্বাচন কমিশন তাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় মঙ্গলবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মঞ্চে একাকি বসে, মুখে কালো কাপড় বেঁধে তিনি ছবি এঁকেছেন বেশ কয়েকখানি। সন্ধ্যায় তা নিয়েই তীব্র কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজারহাট গোপালপুরে শমীক ভট্টাচার্যের সমর্থনে সভা ছিল শুভেন্দুর। সেখানে শুভেন্দু বলেন, মাননীয়া সংবিধান মানেন না, তিনি হাইকোর্ট মানেন না। সকাল থেকে ধর্না দিচ্ছেন। একটা চপের ছবি এঁকেছেন। কিন্তু ছবি কেনার লোক তো নেই। ছবি কিনবে কে? গৌতম কুণ্ডুও জেলে সুদীপ্ত সেনও জেলে। বাংলায় চিটফান্ডের ব্যবসা যখন রমরমা, তখন রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডু ও সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন দু’জনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবি বহুমূল্য দিয়ে কিনেছিলেন। চিটফান্ড মামলায় সেই ছবি কেনা বেচা সিবিআইয়ের নজরেও রয়েছে।

সে ব্যাপারে গৌতম কুণ্ডু, এক চিত্র প্রযোজক সহ অনেককেই জেরা করেছিল সিবিআই। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনেই মমতাকে খোঁচা দিতে চেয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, নির্বাচন কমিশন আমাকেও নোটিস পাঠিয়েছিল। আমি জবাব দিয়েছে। কমিশন আমাকে আদর্শ আচরণবিধি মেনে চলতে বলেছে। আমি তাই করব। রাহুল সিনহার উপর ৪৮ ঘন্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তিনিও তা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু মাননীয়া ধর্ণায় বসে পড়েছেন। এই ধর্না নিয়ে ওঁর শিক্ষামন্ত্রীর একটা কথা মনে করিয়ে দিতে চাই—’যাঁরা অযোগ্য তাঁরাই ধর্নায় বসেন।’ নন্দীগ্রামে ভোটের পর শুভেন্দু এখন বাংলা জুড়ে প্রচারে নেমেছেন। তাঁকে দল যে গুরুত্ব দিচ্ছে তা সভা ও রোড শো-র সংখ্যা, তাঁর মিটিংয়ের জন্য চাহিদা, হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা ইত্যাদি থেকেই পরিষ্কার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *