বাজারে ভিড় রাত থেকেই লম্বা লাইন মদের দোকানে

শুক্র সন্ধ্যাতেই রাজ্য সরকার বাংলাজুড়ে আংশিক লকডাউন লাগু করে দিয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করতে বলা হয়েছে রাজ্যের যাবতীয় শপিং কমপ্লেক্স, মল, মাল্টিপ্লেক্স, সিনেমা হল, রেস্টুরেন্ট, বার, জিম, বিউটি পার্লার, স্পা, সুইমিং পুল। তবে দিনভর দোকান খোলা রাখার ছাড় দেওয়া হয়েছে মুদিকে, দুধের দোকানকে, ওষুধের দোকানকে। একই সঙ্গে কাঁচা শাকসবজি, মাছ-মাংসের বাজারকে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বেলা ১০টা ৩ ঘন্টার জন্য ও বিকালে দুপুর ৩টে থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বসার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে স্বাভাবিক থাকছে পরিবহণ ব্যবস্থা, অফিস, আদালত, ব্যাঙ্ক, এটিএম। চালু থাকছে হোম ডেলিভারি ও অনলাইন সার্ভিসও। 

বাজারে আমজনতাকে যেমন ভিড় জমাতে দেখা গিয়েছে তেমনি কাল রাত থেকেই লম্বা লাইন মদের দোকানের সামনে।আংশিক লকডাউনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে রাজ্যে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।এটা নিয়ে কোনও রাজনীতি চাই না। এই সময় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একসঙ্গে থাকা প্রয়োজন। সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে করোনা রুখতে, তার সঙ্গে আমরা থাকব।’ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানান লকডাউনেও আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করতে হবে। মানুষকে হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে। সেসব আটকাতে হবে।’

অনেকেই মনে করছেন পূর্ণ লকডাউনই লাগু হলে আর কেনাকাটা করার সুযোগ থাকবে না। তাই এখন থেকেই যতটা বেশি সম্ভব ঘরে জিনিসপত্র ঢুকিয়ে নিতে চাইছেন কিছু মানুষ।গতকাল রাত থেকেই এলাকায় চোখে পড়ছে অনেক মানুষকেই বস্তা বস্তা জিনিস কিনে রিক্সা বা টোটো ভাড়া করে বাড়ি যেতে।বাজার কমিটিই মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করলেও অনেকেরই কার্যত কথা কানেই যাচ্ছে না। গতকাল সন্ধ্যা থেকেই লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে মদের দোকানেও। না ছিল সামাজিক দূরত্ব, না ছিল কারো মুখে মাস্ক। এদিন সকালেও মদের দোকানে ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *