পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ সুশান্ত যদি শালবনি কেন্দ্রে নজরে থাকেন, মেদিনীপুরে চোখ থাকতে চলেছে জুন মালিয়ার দিকে

বেনাচাপাড়া কঙ্কালকাণ্ডে নাম জড়ানোর পর নিজের দলেই ‘ব্রাত্য’ হয়ে গিয়েছিলেন সুশান্ত ঘোষ। হাজতবাস, ‘অজ্ঞাতবাস’ কাটিয়ে সম্প্রতি ফের দলেও ফিরেছেন। পা রেখেছেন বেনাচাপাড়াতেও। লাল পতাকা কাঁধে নিয়েই এ বার নীলবাড়ির লড়াইয়ে শামিল হচ্ছেন সুশান্ত। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শালবনি থেকে। সেখানে তৃণমূলের শ্রীকান্ত মাহাতো এবং বিজেপি-র রাজীব কুণ্ডুর সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই তাঁর। তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে বাম শিবিরের একটি অংশে চাপা অস্বস্তি ছিলই। তাই শালবনিতে শুধু দলের মাস্তুল সামলানোই নয়, নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের লড়াই লড়ছেন সুশান্ত।

পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ সুশান্ত যদি শালবনি কেন্দ্রে নজরে থাকেন, তা হলে মেদিনীপুরে চোখ থাকতে চলেছে তৃণমূলের নতুন প্রার্থী জুন মালিয়ার দিকে। রাজ্য মহিলা কমিশনের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, খাতায় কলমে রাজনীতির সঙ্গে পরিচয় ২০২১ সালেই। তাতে যদিও মার্কস কাটা যায়নি অভিনেত্রী জুন মালিয়ার। বরং মহিলা কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত থাকায় নারীবাদী ভাবমূর্তির তৈরি হয়েছে তাঁর। বর্তমানে দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এখানেই একটা সাযুজ্য তৈরি হয়েছে। কোনওরকম রাখঢাক না করেই জুন জানিয়েছেন, মমতাকে তৃতীয় বার ক্ষমতায় দেখতেই রাজনীতিতে পদার্পণ তাঁর। তাঁকেও নিরাশ করেননি মমতা। বিদায়ী বিধায়ক মৃগেন্দ্রনাথ মাইতিকে সরিয়ে মেদিনীপুরের ভার জুনের হাতে তুলে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সেই থেকে গ্ল্যামারের তোয়াক্কা না করে রোদে-তাপে ঘুরেই প্রচার সারছেন জুন। দলনেত্রী নিজেও তাঁকে নিয়ে প্রচারে গিয়েছেন। বিজেপি-র শমিতকুমার দাস এবং সিপিআইয়ের তরুণকুমার ঘোষের সঙ্গে সেখানে লড়াই জুনের।

লালকার্ড দেখে মাঠের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন কেউ। সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন ঘটতে লেগেছে প্রায় এক দশক। ভোটের ময়দানে কারও আবার এ বছরই হাতেখড়ি।শনিবার নীলবাড়ির লড়াইয়ে প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ। তাতে ৫ জেলার ৩০টি আসনে‌ সব মিলিয়ে ১৯১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ বারের নির্বাচনকে তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণের পরীক্ষা বললেও অত্যুক্তি হয় না। সেই তালিকায় রয়েছেন সিপিএমের সুশান্ত ঘোষ, তৃণমূলের জুন মালিয়া, বীরবাহা হাঁসদা, শান্তিরাম মাহাতো, অখিল গিরি, সিপিএমের দেবলীনা হেমব্রম, কিংবা কংগ্রেসের নেপাল মাহাতো-র মতো ব্যক্তিত্ব এবং তাঁদের প্রতিপক্ষরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *