নিজাম প্যালেসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আজ সকালে আচমকাই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্রকে নিয়ে আসা হয় সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে। নিয়ে আসা হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। কোনও নোটিশ ছাড়া মাত্র ঘণ্টা দেড়েকের ব্যবধানে চার জনকে নিয়ে আসা হয় সিবিআই দফতরে। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। নিজাম প্যালেসে নিয়ে এসে অ্যারেস্ট মেমোতে ওই চারজন নেতা মন্ত্রীকে দিয়ে সই করানো হয়েছে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর।
এর কিছুক্ষণ পরই নিজাম প্যালেসে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আসার কারণের বিষয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।’সূত্রের খবর, এই গ্রেফতারিকে বেআইনি বলে জানানোর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘যতক্ষণ না তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তিনি নিজাম প্যালেস ছাড়বেন না’ বলে কার্যত সিবিআই-এর দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নেতামন্ত্রীদের গ্রেফতারির খবরে সোজা নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায় পৌঁছে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন, “আমি এই চত্বরেই বসে থাকব। কারও কারও অর্ডারে আপনারা এই কাজ করছেন। আমাকে আইন শিখিয়ে লাভ নেই। কোন নিয়মে গ্রেফতারি, না জেনে কোথাও যাব না।” অর্থাত্ গ্রেফতারির আইনসঙ্গত উত্তর না পেলে অবস্থানেই থাকছেন মমতা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে গ্রেফতার হওয়া বিধায়ক মন্ত্রীদের আইনজীবীরাও রয়েছেন নিজাম প্যালেসে। তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নিজাম প্যালেসের গেটে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর জন্য রাজ্যপালের অনুমোদন চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। রাজ্যপালের অনুমোদনের পরই পদক্ষেপ করল সিবিআই। ২০১৭ সালের ১২ জানুয়ারি মামলার শুনানিতে হাই কোর্ট অভিযুক্তদের আইনজীবীদের কাছে জানতে চায়, রাজ্য পুলিশ তদন্ত শুরু করেনি। ফলে কেন তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হবে না। ২০১৭, ১৭ মার্চ নারদ তদন্ত সিবিআই-কে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর জন্য রাজ্যপালের অনুমোদন চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। রাজ্যপালের অনুমোদনের পরই পদক্ষেপ করে সিবিআই। ২০১৭, ২০ জানুয়ারি মামলার শুনানি শেষ। ঘটনা সামনে আসার পাঁচ বছর গ্রেফতারি। একটা বিধানসভা ভোটের আগে ঘটনা সামনে এসেছিল, আর গ্রেফতারি হল পরবর্তী বিধানসভার ফলপ্রকাশের পর।