জামিন নাকি হেফাজত?
নারদকাণ্ডের জামিন নিয়ে বৃহস্পতিবার মতামত জানাবে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন সুব্রত-ফিরহাদ-মদন-শোভনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি অরিজিত্ বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।উল্লেখ্য,সোমবার নারদকাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের ৪ জন প্রাক্তন এবং বর্তমান মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। বুধবার ভার প্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি অরিজিত্ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ডিভিশন বেঞ্চে জামিন পুনর্বিবেচনায় এই মামলার ভার্চুয়াল শুনানি চলে। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে যে, নারদ-মামলায় ওই ৪ নেতা-মন্ত্রীকে জামিন দেওয়া হবে কিনা, বৃহস্পতিবার সেবিষয়ে মতামত জানাবে। বুধবার হাইকোর্টে সওয়াল করেন সিবিআই আইনজীবি। পাল্টা প্রশ্ন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের কি জেলে রাখা জরুরী। উত্তরে আইনজীবী তুষার মেহেতা বলেছেন, ‘অভিযুক্তরা জেলে নেই, হাসপাতালে আছেন।’ পাশাপাশি, অভিষেক মনু সিংভি প্রশ্ন তুলেছেন , অভিযুক্তদের না জানিয়ে মামলা হল কীভাবে। সিবিআই নানা কৌশলে জেলে ঢোকাতে চাইছে।
নারদ মামলায় (Narod Case) একদিকে সিবিআই (CBI) অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee), মদন মিত্র (Madan Mitra) ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovon Chattopadhyay) আইনজীবীদের আলাদা আলাদা আবেদনের ভিত্তিতে নারদ মামলার শুনানি শুরু কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High Court) দুপুর দু’টো থেকে।
তুষার মেহতার উদ্দেশে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘চার্জশিট পেশ করা হয়ে গিয়েছে, এই ৪ জনকে আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এরা মামলায় অসহযোগিতা করেছেন এমন উদহারণ আছে কী? তাহলে এই করোনাকালে এঁদের শুধুশুধু জেলে রাখার প্রয়োজন আছে কি?’ ধৃতেরা অসহযোগিতা করেছেন এমন কোনও উদাহরণ আছে কি না, তাও সলিসিটার জেনারেলের কাছে জানতে চান বিচারক।