কেমন আছে শহর বর্ধমান জানুন…
যাকেই এ বিষয়ে জানতে চাইবেন তিনি কেঁদে ফেলবেন।এটাই বাস্তব।
বর্ধমান রাজার শহর,ঐতিহাসিক শহর।পুরনো শহরের মধ্যে বর্ধমানও একটি পুরনো শহর।বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে শহর বর্ধমান ও নিজেকে আপডেট করার চেষ্টা করেছে।এই শহরে রয়েছে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল,ইউনিভার্সিটি,মহিলা কলেজ,কলেজ,স্টেডিয়াম থেকে এক কথায় সব কিছু।বর্ধমান শহরের খোষবাগানএর গ্রিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এ নাম আছে।এক সাথে এত ডাক্তার কোথাও নেই।সেই শহর এখন কেমন?
যাকেই এ বিষয়ে জানতে চাইবেন তিনি কেঁদে ফেলবেন।এটাই বাস্তব।পুরনো শহর,তায় রাস্তা খুব সংকীর্ণ এবং
মূল রাস্তা মাত্র দুটি।আগে ছিল রিক্সার দাপাদাপি এখন টোটোর দাপাদাপি।সবই কিছু তাও চলে যাচ্ছিল।কিন্তু বাধ সাধলো রাস্তা।মাসের পর মাস শহরের রাস্তার হাল অতান্ত্য লজ্জা জনক।প্রতন্ত্য গ্রামের রাস্তা এর থেকে অনেক ভালো।
lo
বিধায়ক খোকন দাস ক্ষমতা পাবার পরই প্রথম হাত দেন রাস্তা,যানজট এবং টোটো নিয়ন্ত্রণে।কিন্তু তাকে বাস্তবায়িত করতে দিলনা বিরোধীরা।বিরোধী বলতে অন্য কোন রাজনৈতিক দল নয়।নিজের দলের কিছু মানুষ সেটা করতে দিলেন না।ফলে বর্ধমানের নাগরিকরা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা তলিয়ে গেল বিশবাও জলে।
পৌরসভার চেয়ারম্যান বলে ছিলেন অনেক কথা কিন্তু কোনো কাজ হলোনা।বর্ধমান বাসি জানতে চায় এভাবেই কি থাকতে হবে তাদের?
শহরের মানুষের জন্য কাজ হচ্ছেনা।আজ বর্ধমান মিঠাপুকুর মোড়ে সকাল 8টা থেকে রাত 10টা পর্যন্ত রাস্তা জ্যাম।কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই কারোর।বেহাল রাস্তার জন্য আরো কঠিন অবস্থা।সেখানে রাস্তার উপরেই হোটেল ব্যাবসা শুরু করে আরো যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কার মদতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে রাস্তার উপর গুরুত্ব পূর্ণ মোড়ে হোটেল ব্যাবসা এর কোনো উত্তর নেই কারোর কাছে।
অনেকে বলছেন রূপ কথার গল্পের মত আমরা শুধু গল্পঃ শুনি আর স্বপ্ন দেখি স্বপ্নের শহর হবে। সমগ্র বর্ধমান শহরে যে ভাবে অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তা করা এবং কাটা হচ্ছে তা অত্যন্ত লজ্জা জনক।বর্ধমানবাসী আরো বলেন বাইরের কেও আমাদের বাড়িতে ঘুরতে এলে আমরা লজ্জায় বাইরে ঘুরতে নিয়ে যেতে পারিনা,কারণ রাস্তার অবস্থা দেখলে তারা বলবে আমরা প্রত্যন্ত গ্রামে থাকি।