অটো-টোটো-ম্যাক্সিক্যাবের চালকদের সঙ্গে বিবাদের জেরে বন্ধ হয়ে গেল বেসরকারি বাস পরিষেবা

চাঁচল, ০১ অগস্ট : অটো-টোটো-ম্যাক্সিক্যাবের চালকদের সঙ্গে বাসচালকদের বিবাদের জেরে রবিবাসরীয় সকালে চাঁচলে বন্ধ হয়ে গেল বেসরকারি বাস পরিষেবা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও এখনও পর্যন্ত পরিষেবা সচল হয়নি। বাসচালকদের অভিযোগ, চাঁচলের কাজি নজরুল বাস টার্মিনাস থেকে বাস বের করতে দিচ্ছেন না অটো সহ ছোট গাড়ির চালকরা। এনিয়ে নিত্যদিন অশান্তিতে ভুগতে হচ্ছে তাঁদের। প্রশাসন এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান না করলে তাঁরা বাস চালাবেন না। যদিও এই ঘটনার জন্য বেসরকারি বাস কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছে ছোট গাড়ির মালিক সংগঠন।
১৯৯৯ সালে চাঁচলে কাজি নজরুল বাস টার্মিনাস চালু হয়। তারপর থেকেই বিভিন্ন সময় বেসরকারি বাস ও ছোট গাড়ির মালিক এবং শ্রমিকদের মধ্যে বিভিন্ন কারণে বিরোধ শুরু হয়। এর জেরে মাঝেমধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় যাত্রী পরিষেবা। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বেসরকারি বাসচালকদের অভিযোগ, দূরপাল্লার অনেক বাস রাতে এই স্ট্যান্ডে থাকে। সকালে সেসব স্ট্যান্ড ছেড়ে বেরিয়ে যায়। অভিযোগ, আজ সকালে বাস বের করার মুখে অটো সহ বিভিন্ন ছোট গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন চালকরা। ফলে বাস বেরোতে পারেনি। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। তারই জেরে বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেন বাসচালকরা।
মালদা বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চাঁচলের চেন মাস্টার প্রদীপকুমার চ্যাটার্জি বলেন, এটা বাসস্ট্যান্ড হিসাবেই পরিচিত। কিন্তু এখান থেকে আমাদের বাস বের করতে দিচ্ছেন না অটো কিংবা ছোট গাড়ির চালকরা। তাঁরা সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন, তাঁরা আমাদের বাস বের করতে দেবেন না। প্রশাসনের কাছে আমরা বারবার বাস রাখার জায়গা চিহ্নিত করার আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু প্রশাসনও আমাদের সহযোগিতা করেনি। আজ এনিয়ে ফের অটোচালকদের সঙ্গে আমাদের ঝামেলা হয়। তাই আমরা বাস বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। যাত্রীদেরও বাস থেকে উঠতে বা নামতে সমস্যা হয়। তাঁদের সেই সমস্যা যাতে দূর হয়, সেকারণেই আজ আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। প্রশাসন যতক্ষণ না বাস রাখার জন্য আমাদের স্থায়ী জায়গার ব্যবস্থা না করে দেয়, ততক্ষণ আমাদের এই আন্দোলন চলবে।
অন্যদিকে চাঁচল ম্যাক্সিক্যাব ইউনিয়নের সম্পাদক রতনকুমার সাহা বলেন, ওরা কিছুদিন ধরেই বাস পার্কিং করে চলে যাচ্ছে। আমাদের জন্য জায়গা ছাড়ছে না। এনিয়ে গত পরশু দুই পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। আজ ছোট গাড়ির চালকরা বাসচালকদের জানিয়ে দেন, নির্দিষ্ট জায়গায় বাস না রাখলে তাঁরা সেখানে বাস রাখতে দেবেন না। কারণ, তাতে ছোট গাড়ি এখানে রাখা যায় না। এদিকে রাস্তায় পার্কিং নিয়ে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তারপরেই বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁরা নিজেরাই রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে আমাদের কোনও হাত নেই। তাঁরা আমাদেরও গাড়ি চালাতে দিচ্ছেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *