লোকর গৌতম সরকারের বিরুদ্ধে খেলার মাঠে দুর্নীতির অভিযোগ
গৌতম সরকারের মত মানুষরা আজও মঞ্চে সম্মান পান কি করে?
বর্ধমান থার্ড ডিভিশন লীগে শুরু হচ্ছে সুপার ফোরের খেলা।যেখানে 4টি দল অংশ গ্রহন করবে।এবারে লীগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নিজের নামের প্রতি
সুবিচার করলেন নামকরা কোচ গৌতম বাবু।তিনি দীর্ঘ বহু বছর ধরে কোচিং এর সাথে যুক্ত।পাশাপাশি খেলা নিয়ে প্রতিবছর নিয়ম বহির্ভূত কাজ করে ম্যাচ জেতার চেষ্টা করেন।প্রতি বছর বিভিন্ন ক্লাব তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস এসোসিয়েশন(BDSA )এর কাছে।কেও প্রমাণ করতে পারে কেও পারে না।আর গৌতম সরকার বাবু পার পেয়ে যান।
এবারেও সেই একই কাজ করেছিলেন BLYS এবং আমরা সবাই ক্লাব এর খেলায়।উনি ছিলেন BLYS এর দায়িত্বে।4টি খেলোয়াড় কে (NON REGISTERED) ওই ম্যাচে খেলান।আমরা সবাই গত বারে প্রমাণ জোগাড় করতে সক্ষম হয়নি।কিন্তু এবারে আগে থেকেই সব প্লানিং করে রেখেছিলেন।কি ভাবে গৌতম সরকারের মত একজন নিচ মানসিকতার কোচকে কিভাবে বাগে আনবেন।খেলা শেষ হলো।নিয়ম মেনে প্রমাণ সহ অভিযোগ জমা পড়ল BDSA এর দপ্তরে।প্রমাণিত হলো তিনি নিয়ম বহির্ভূত ভাবে খেলোয়াড় খেলিয়েছেন।পয়েন্ট চলে গেলো আমরা সবাই এর পকেটে।
(32সেকেন্ড এর পর ভিডিও তায় দেখুন কিভাবে গৌতমবাবু ওই খেলোয়াড় তাকে গার্ড করছে)
এখান পর্যন্ত সব ঠিক ছিল।অন্যায় করলো পয়েন্ট টা চলে গেলো ঠিকই কিন্তু সুপার ফোরে উঠে গেলো BLYS.তাহলে শাস্তি কি হলো?আমরা সবাই ধরলো কারণ তারা জানে গৌতম বাবুর খেলার মাঠের চরিত্র।বাকি যারা ধরলো না ম্যাচ হেরে গেছে তারা লীগ থেকে ছিটকে গেলো।কাজের কাজ টা গৌতম সরকার কিন্তু করে নিলো।
এখানেই উঠছে প্রশ্ন।কেনো ওই দল টার বিরুদ্ধে সাসপেন্ড এর মত শস্তি হলো না?আগামী দিনে তাহলে তো সবাই ওই পথ অবলম্বন করবে? এ তো ধরা পড়লে ধনঞ্জয়,না পড়লে এনজয় এর মত কেস।আমরা সবাই এর খেলোয়াড় রা অভিযোগ করেছেন উনি প্রথম ডিভিশন খেলা খেলোয়াড় দের ও সময় সুযোগ বুঝে খেলিয়ে দেন যেখানে সেখানে।এই ধরনের একজন মানুষ কে কেনো বিডিএসএ সাসপেন্ড করে না সে নিয়ে বর্ধমান ক্রীয়া জগতে উঠছে প্রশ্ন।যিনি নিজে এই জঘন্য কাজ করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর তিনি আগামী প্রজন্ম কে শিক্ষা দেবেন টা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
খেলোয়াড় দের যাদের নিয়ে আসা হচ্ছে তারা অনেকেই জানে না কিসের খেলা,কেন যাচ্ছে।তাদের পয়সা দিয়ে খেলানো হচ্ছে।অনেক খেলোয়াড় যারা গৌতম সরকার এর ক্লাবে প্রথম ডিভিশন ম্যাচ এ খেলেছে গুরত্ব পূর্ণ ম্যাচে সে দ্বিতীয়া বা তৃতীয় ডিভিশনে এসেও খেলে যাচ্ছে।
আমরা সবাই একজন খেলোয়াড়ের ভয়েস রেকর্ডিং তার আঁধার কার্ড ছবি মাঠে ভিডিও সব জোগাড় করে।কুরমুনের একটি ছেলে জার নাম রনি তাকে ওই ম্যাচে এনে 19 নম্বর জার্সি পরে পূর্ণেন্দু দত্ত নামে খেলানো হয়।এবং এই রনি তার নিজের মুখে সমস্ত টা স্বীকার করে।ম্যাচ চলে যায় আমরা সবাই এর পকেটে।
এখন প্রশ্ন এই গৌতম বাবুর মত মানুষরা হাতে মাইক পেলে বা ক্যামেরার সামনে দাড়িয়ে বাংলার ফুটবল,ভারতের ফুটবল নিয়ে বড় বড় বক্তব্য রাখেন।অথচ তিনি নিজে সামান্য একটা খেলাতেও দুর্নীতির কথা বলেন।এই সমস্ত জঞ্জাল সাফ করে দুর্নীতি মুক্ত খেলার মাঠের দাবি জানান বর্ধমানের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন খেলোয়াড় বৃন্দ।বিডিএস এর কাছেও তারা আমাদের মাধ্যমে অনুরোধ জানান এই সমস্ত মানুষের কাছে লেনদেন ভুলে মাঠ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়ে বর্ধমানের ফুটবলের অগ্রগতির কথা ভাবুন।তারা তাকিয়ে ক্লাব এর পয়েন্ট গেলো শাস্তি কি হলো?যিনি মাথা দিয়ে করলেন তার কি শাস্তি হলো?কাল আবার যে করবেন না তার দায় কে নেবে?মাঠে ছবি তোলার অনুমতি নেই তাহলে বাইরের ছেলে খেলে চলে গেলে তার দায় কে নেবে?এমন অনেক অজানা প্রশ্ন রয়ে গেলো যা আগামীতেও গৌতম বাবুদের মত মানুষ দের ভয় পাওয়ার বা এই কাজ থেকে বিরত থাকার কোন জায়গা রইলো না।এক কথায় গৃহস্ত কে বলো দরজা খুলে রাখো,চোর কে বলো চুরি করো তারপর তোমার ক্ষমতা থাকলে গৃহস্ত তুমি চরকে ধরো।