ভারতে তৈরি করোনার প্রতিষেধক Covaxin অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম
সৌজন্যে :ইন্টারনেট :- জানা গেল ভারতে তৈরি করোনার প্রতিষেধক Covaxin-এর প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালের ফলাফল! প্রথম পর্যায়ে ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর Covaxin প্রয়োগ করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে Covaxin প্রয়োগের ফলাফল সম্প্রতি সামনে এসেছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই ফলাফল যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক!
Covaxin-এর প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালের প্রধান পর্যবেক্ষক ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এর ডঃ ই ভেঙ্কট রাও জানান, স্বেচ্ছাসেবকদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা-রোধী অ্যান্টিবডির অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে। একই সঙ্গে এই প্রতিষেধকের প্রয়োগে স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে কোনও বিরূপ প্রভাব চোখে পড়েনি।ডঃ রাও জানান, ১৪ দিনের ব্যবধানে Covaxin-এর মোট ২টি ডোজ দেওয়া হয় স্বেচ্ছাসেবকদের। তার পর তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। টিকা নেওয়ার ২৮ দিন, ৪২ দিন, ১০৪ দিন এবং ১৯৪ দিনের ব্যবধানে স্বেচ্ছাসেবকদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হবে। টিকার কার্যকারিতার মেয়াদ সম্পর্কে ধারণা পেতেই এই বিশেষ পর্যবেক্ষণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এ দিকে Covaxin-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়ে গিয়েছে। নাগপুরের ডঃ গিল্লুরকর হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এ শুরু হয়েছে এই টিকার দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। এখানে মোট ৫৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর Covaxin প্রয়োগ করা হবে। জানা গিয়েছে, দু’টি পর্যায়ে মোট ১,১০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর Covaxin পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হবে। এই ট্রায়ালের জন্য হায়দরাবাদের নিজাম ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস, দিল্লি ও পটনার AIIMS-সহ মোট ১২টি প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ’ (ICMR)।