প্রশাসনিক অবহেলার মাঝেই চর গোবিন্দপুরে অঞ্জনা দেবীর অভাগীর সংসার
কৈলাস বিশ্বাস , বাঁকুড়া :- ভোট আসে ভোট যায়, বদলে যায় সরকার, তবুও বদলায় না কিছু মানুষের অবস্থা। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি মিললেও, কেউ কথা রাখেনা। অঞ্জনা মণ্ডল, মানসিকভাবে অসুস্থ সন্তান নিয়ে তার দিনযাপন। বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের ব্লকের চর গোবিন্দপুরের এই মহিলা গত তিন দশক আগে হারিয়েছেন স্বামীকে। আর তারপরেই শুরু হয় তার দুঃস্বপ্নের দিনযাপন। বাঁশের বেড়া দেওয়া বাড়িতে চরম অসহায়তায় চলছে তার জীবন। বারবার আবেদন করে, বারবার সরকারি অফিসের দরজায় হত্যে দিয়ে আজও তার ভাগ্যে জোটেনি কোনো সরকারী প্রকল্পে বাড়ি, জোটেনি বিধবা ভাতাও। এদিকে বাড়ির চাল ভেদ করে রাতে আকাশের চাঁদ দেখা যায়, আর বর্ষায় সেই চালের ফুটো বেয়ে জল পড়ে মেঝেতে, ঘর হয়ে পড়ে বসবাসের অযোগ্য। এভাবেই দিন কাটে অঞ্জনা দেবীর কিন্তু এভাবে আর কতো দিন? উত্তর নেই তার কাছে। অঞ্জনা মণ্ডল বলেন, বাড়ির অবস্থা ভালো নয়, ঝড়ের দাপটে ভেঙে গেছে বাড়ির একাংশ, অন্য দিকে শারিরীক দিক থেকেও তিনি আরও অসুস্থ হন, ফলে কাজও করতে পারেননা। এদিকে ছেলের ও নিজের চিকিৎসার খরচ, যার মাঝে ঠিকঠাক দুবেলা পেট ভর্তি খাবারও জোটেনা তাদের। অভাগীর এই বিপন্ন সংসার কিভাবে চলবে? ভেবেও কূলকিনারা মেলেনি অঞ্জনা দেবীর।
এদিকে অসহায় এই ‘মা’য়ের পাশে দাঁড়াক প্রশাসন, চাইছেন গ্রামবাসীরাও। তারা বলেন, সরকারি প্রকল্পের একটি বাড়ি ও বিধবা ভাতা পেলে হয়তো দুবেলা খেয়ে পরে বাঁচবে মা-ছেলে।এ ব্যাপারে নারায়ণ পুর অঞ্চলের উপপ্রধান প্রশান্ত সাল কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন এই ব্যাপারটা আমরা তদন্ত করে দেখছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেবো।