প্রতারণার ফাঁদ! সতর্ক করল লালবাজার
INTERNET :মাঝেমধ্যেই এমন মেসেজ আসছে যার সঙ্গে হয় ওই মোবাইল নম্বর ব্যবহারকারীর কোনও যোগাযোগ নেই, অথবা আউটবক্সে এমন কিছু মেসেজ জমা হচ্ছে, যা তিনি কখনও কাউকে পাঠাননি!লাগাতার এমন হতে থাকলে দ্রুত সতর্ক হতে বলছেন সাইবার গবেষকেরা।প্রয়োজনে পুলিশের দ্বারস্থ হতে বলছে লালবাজারও। কারণ, ব্যবহারকারীর অজানতেই তাঁর নম্বরের নকল সিম কার্ড বার করে প্রতারণার ফাঁদ পাতার একাধিক অভিযোগ সামনে আসছে গত কয়েক মাস ধরে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য জেনে এই ফাঁদ পাতা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
কারও হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করার জন্য প্রতারক নিজের মোবাইল ফোনে প্রথমে ওই মেসেজিং অ্যাপটি নামাচ্ছে। এ বার যখন অ্যাপটি কোন ফোন নম্বরের সঙ্গে যুক্ত হবে বলে জানতে চাইছে, তখন সেখানে কোনও এক ‘টার্গেটের’ মোবাইল নম্বর দেওয়া হচ্ছে। এর পরে সংশ্লিষ্ট মোবাইল নম্বর ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বলা হচ্ছে, ”ভুল করে হোয়াটসঅ্যাপ অথেন্টিকেশন কোডটি আপনার কাছে চলে গিয়েছে।” এর পরে যে কোনও অছিলায় কোডটি জেনে নিতে পারলেই সেই ব্যবহারকারীর হোয়াটসঅ্যাপ চলে যাচ্ছে প্রতারকের হাতে।বহু ক্ষেত্রেই ওই অ্যাপের সাহায্যে ‘টার্গেট’ ব্যক্তির আধার বা প্যান কার্ডের মতো ব্যক্তিগত নথির তথ্যও বার করে নেওয়া হচ্ছে।বহু ক্ষেত্রেই ওই অ্যাপের সাহায্যে ‘টার্গেট’ ব্যক্তির আধার বা প্যান কার্ডের মতো ব্যক্তিগত নথির তথ্যও বার করে নেওয়া হচ্ছে।
সাইবার তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে কাউকে ‘টার্গেট’ করে লাগাতার ব্যাঙ্ক পরিষেবা সংক্রান্ত ইমেল পাঠানো হচ্ছে। সেই সূত্রেই জেনে নেওয়া হচ্ছে তাঁর প্যান এবং আধার নম্বর।
লালবাজারের তদন্তকারীদের পরামর্শ, কাউকেই কোনও হোয়াটসঅ্যাপ কোড বলা যাবে না। ফোন নম্বরে কোনও সমস্যা হচ্ছে বুঝলেই দ্রুত সংশ্লিষ্ট টেলি অপারেটিং সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কোনও ভাবে টাকা খোয়া গেলেও পুলিশকে জানাতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। সাইবার শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পুলিশকর্তা বলেন, ”৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জানালে অনেক সময়েই হারানো টাকা উদ্ধার করে দেওয়া সম্ভব। সব সময়ে মাথায় রাখতে হবে, কোনও ব্যক্তিগত তথ্য অপরিচিত কাউকে কখনওই জানানো চলবে না।”