দিনে দুপুরে ভেঙ্গে পড়লো জলের ট্যাংক

                                           কৈলাশ বিশ্বাস :বাঁকুড়া 
কংক্রিটের জলের ট্যাঙ্কে হালকা ফাটল দেখা গিয়েছিল। নজর পড়তেই ব্যবস্থা নেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল বিপত্তি। আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের জলের ট্যাঙ্ক। বুধবার দুপুর তিনটে নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল সারেঙ্গা ব্লকের গড়গড়িয়া পঞ্চায়েতের ফতেডাঙ্গা এলাকায়।


 মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে আস্ত একটি জলের ট্যাঙ্ক আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও যেখানে জলের ট্যাঙ্কটি রয়েছে তার আশেপাশে কেউ না থাকায় বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। কেউ হতাহত হয়নি। তবে হঠাৎ কেন এই জলের ট্যাঙ্কটি এমনভাবে ভেঙে পড়ল তা খতিয়ে দেখছে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তর।


স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুপুর তিনটে নাগাদ আচমকা বিকট শব্দে জলের ট্যাঙ্কটি ভেঙে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে ট্যাঙ্কে মজুত অবশিষ্ট জল হু হু করে আশেপাশের জমিতে পড়ে যায়। আচমকা এমন ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। চারপাশের মানুষজন নিমেষের মধ্যে সেখানে ভিড় করেন। 



জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের বাঁকুড়া ডিভিশনের জল সরবরাহ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুমন প্রামাণিক বলেন, “সারেঙ্গার ফতেডাঙ্গা এলাকায় অবস্থিত ওই জলের ট্যাঙ্কটি ২০১৬ সালে তৈরি করা হয়। ওই কাজের বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থাটির হাতেই জলের ট্যাঙ্কটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে। ৫ বছর জল ট্যাঙ্কে ফাটল ধরবে না বলেই জানিয়েছিল নির্মাণকারী সংস্থা।   গড়গড়িয়া ও বিক্রমপুর পঞ্চায়েতের ১২ টি গ্রামে জল সরবরাহ করা হয়। তবে জল মজুত না থাকলেও ওই এলাকায় জল সরবরাহে কোনও অসুবিধা হবে না। সরাসরি পাম্প থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *