এসি কিনতে চাইছেন! মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি!
চৈত্রের শেষ আর বৈশাখের শুরুতে গরমে নাজেহাল আমজনতা। তাই বর্তমানে অনেকেই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বা এসি কেনার জন্য পরামর্শ নিতে শুরু করেছেন অনেকে থেকেই।
SUNIT GHOSH:- চৈত্রের শেষ আর বৈশাখের শুরুতে গরমে নাজেহাল আমজনতা। তাই বর্তমানে অনেকেই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বা এসি কেনার জন্য পরামর্শ নিতে শুরু করেছেন অনেকে থেকেই। গলদঘর্ম পরিস্থিতিতে কেউ বাড়ির এসি-র ফিল্টার পরিষ্কার করি নিচ্ছে, কেউ বা গ্যাস রিফিল করছেন তো কেউ আবার দোকানে ছুটেছেন নতুন এয়ার কন্ডিশনার ক্রয় করতে যাচ্ছেন দোকানে। তাই এসি কেনার আগে মাথায় রাখতে হবে এই বিষয়গুলি।
এই মুহূর্তে মার্কেটে একাধিক ব্র্যান্ডের এসি রয়েছে যেমন, ভোল্টাস, ব্লু স্টার, ওয়ার্লফুল, এলসি, প্যানাসনিক, স্যামসাং, হিটাচি-সহ আরও। অনেকের আবার একাধিক ব্র্যান্ডের প্রতি আকর্ষণ রয়েছে। কত টনের এসি কিনতে হবে তা পুরোটাই নির্ভর করছে ঘরের আয়তনের উপর। প্রয়োজনের অতিরিক্ত টনের এসি কিনলে খুব দ্রুত ঘর ঠান্ডা করে দেয়। একইসঙ্গে হয় বিদ্যুতের অপচয়। ১২০ বর্গফুট বা তার কম মাপের ঘরের জন্য এক টনের এসিই যথেষ্ট বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ঘরের মাপ ১৮৫ বর্গফুটের কাছাকাছি আয়তনের ঘর হলে দেড় থেকে দুই টনের এসি কিনতে হবে।
কোন এসির বিদ্যুৎ খরচ কেমন তা বোঝা যায় এসির গায়ে থাকা তারা থেকে। ব্যুরো অব এনার্জি এফিশিয়েন্সির পক্ষ থেকে এই তারাগুলি প্রদান করা হয়। একে বিইই রেটিং বলা হয়। পাঁচটি তারাযুক্ত এসি সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। সাধারণত যে এসিতে যত বেশি তারা থাকে তার দাম তত বেশি হয়। ইনভার্টার এসি কমপ্রেসরের গতিবেগ নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে শীতলতার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এই পদ্ধতিতে যেমন বিদ্যুৎ খরচ কমায় তেমনই এই এসির কর্মক্ষমতাও সাধারণ এসির থেকে বেশি।
কপার বা তামার কয়েলযুক্ত এসির দাম বেশি। পাশাপাশি এখন বিভিন্ন এসিতে হরেক রকমের ফিল্টার থাকে। এই ফিল্টারগুলি দুর্গন্ধ দূর করা ও বায়ুবাহিত রোগ-জীবাণু দূর করতে সহায়তা করে। তবে আজকাল স্মার্ট এসিও বেশ জনপ্রিয়। গলার স্বর কিংবা মোবাইল ফোন থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।