আলমগঞ্জ মোটা শিবতলায় পূজার্চনায় মেতেছেন হাজারো পুণ্যার্থী
পূর্ব বর্ধমান চলতি নাম মোটা শিব। আসলে তিনি বর্ধমানেশ্বর ভোলে বাবা
পূর্ব বর্ধমান চলতি নাম মোটা শিব। আসলে তিনি বর্ধমানেশ্বর ভোলে বাবা । বিখ্যাত এই শিবের আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে আলমগঞ্জ শিবতলায় পূজার্চনায় মেতেছেন হাজারো পুণ্যার্থী।প্রতি বছরের মতো এবারও আলমগঞ্জে বর্ধমানেশ্বর শিব মন্দিরে শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন ও পঞ্চমী তিথির পুজো উপলক্ষ্যে সাজিয়ে তোলা হয়েছে মন্দির চত্বর।
মোটা শিব নামে খ্যাত বর্ধমানেশ্বর শিবলিঙ্গ কষ্টি পাথরের। ওজন প্রায় ১৩ টন, উচ্চতা ৬ ফুট, গৌরীপট্ট ১৮ ফুট, পরিধি ১৬ ফুট। শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে বর্ধমানেশ্বর শিব মন্দিরের আশপাশে জুড়ে বসেছে মেলা।বর্ধমানের গর্ব বর্ধমানেশ্বরের শিব মন্দির । ১০ আগস্ট ১৯৭২ সালে বর্ধমানের আলমগঞ্জে মাটি খুড়ে পাওয়া যায় এই বিশাল শিবলিঙ্গ । এই শিবলিঙ্গের সঠিক বয়স জানা যায় নি । এই শিবলিঙ্গের মাপ প্রায় ১৮ ফুট। শিবলিঙ্গের প্রস্থের এই মাপই অন্য শিব মন্দিরের থেকে বর্ধমানেশ্বরকে আলাদা করে দিয়েছে।
বর্ধমানেশ্বর তাই মোটা শিব নামেও পরিচিত। বর্ধমানের অন্যতম প্রধান দ্রষ্টব্য বর্ধমানেশ্বর শিব লিঙ্গ । গবেষকদের ধারণা এটি খ্রীঃ ৭ম বা ৮ম শতকের। অথাৎ কুষাণ যুগের। এই শিবলিঙ্গ এখানে প্রতিষ্ঠা করে ভক্তিভরে শুরু হয় পুজা আর্চনা। লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে বাবা বর্ধমানেশ্বরের মাহাত্ম। প্রতিবছর ২৫ শে শ্রাবণ বাবা বর্ধমানেশ্বারের উপলক্ষ্যে কাটোয়া থেকে বর্ধমান পবিত্র গঙ্গাজল যাত্রার আয়োজন করা হয়। ৬৩ কিমির ও বেশী দুরত্ব অসংখ্য ভক্তবৃন্দ পায়ে হেঁটে বাঁকে করে কলসী করে গঙ্গাজল বয়ে এনে মোটা বাবার মাথায় ঢেলে পুণ্য লাভ করেন।