বালি কারবার নিয়ে কাঁকসায় সরব শুভেন্দু অধিকারী

পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার রূপগঞ্জের বাসিন্দা তথা বিজেপি নেতা সন্দীপ ঘোষের খুনের ঘটনার প্রতিবাদসভা। বৃহস্পতিবার কাঁকসার কুলডিহা গ্রামে আয়োজিত ওই সভায় যোগ দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পশ্চিম বর্ধমান-সহ দক্ষিণবঙ্গের নানা প্রান্তে ‘বেআইনি’ বালির কারবার নিয়ে সরব হলেন।বিঁধলেন তৃণমূল নেতৃত্বকেও। যদিও শুভেন্দুর অভিযোগকে আমল দিতে চাননি তৃণমূল নেতৃত্ব।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-র ৯ ডিসেম্বর দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন সন্দীপ। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে, বিদবিহার পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য শেখ সইফুল-সহ বেশ কয়েক জন তৃণমূল কর্মীর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ আট জনকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তেরা এই মুহূর্তে সকলেই জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার শুভেন্দু প্রথমে সন্দীপের বাড়ি, রূপগঞ্জ গ্রামে যান। সেখানে সন্দীপের মূর্তিতে মাল্যদান করেন। এর পরে, সন্দীপের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা বিজয়, মা প্রতিমার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। এর পরেই, কুলডিহার প্রতিবাদসভায় যোগ দেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘খুনের তিন বছর পরেও, পুলিশ চার্জশিট দেয়নি। বালি মাফিয়াদের কারবারের প্রতিবাদ করাতেই সন্দীপকে খুন হতে হয়।

পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়ায় ‘ভাইপো’র নির্দেশে বালি তোলা হয়।’ পাশাপাশি, শুভেন্দু সন্দীপের বাবাকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘দল সব সময় পরিবারটির পাশে আছে। আজ থেকে এই মামলার দায়িত্ব আমি নিলাম। সন্দীপের পরিবার যাতে সুবিচার পায়, সে জন্য পূর্ণ সহযোগিতা করব।’ এ দিন বিজয় জানান, তিনি শুভেন্দুর কাছে ‘দোষী’দের শাস্তি, সন্দীপের পূর্ণাবয়ব মূর্তি তৈরি এবং মেয়ের চাকরির আর্জি জানিয়েছেন।

শুভেন্দু তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন, জানান বিজয়। যদিও, তৃণমূলের কাঁকসা ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সী বলেন, ‘পুলিশ ওই ঘটনায় আইন অনুযায়ী, পদক্ষেপ করেছে। সন্দীপের দিদিকে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে নিয়োগ করেছে সরকার। রাজ্য সরকার সবসময় নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করে। বালির কারবারের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *