চলতি সপ্তাহ থেকেই এই রাজ্যে চালু হচ্ছে স্কুল

মারণ করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে কার্যত গৃহবন্দি শিশুরা। স্কুলের দরজা ছিল বন্ধ। অবশেষে করোনার প্রভাব কমায় ত্রিপুরায় খুলেছে স্কুল।আর এবার চলতি মাসের ১৩ তারিখ থেকে ত্রিপুরায় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু হচ্ছে। এবার থেকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ারাও স্কুলমুখো হবে।

উল্লেখ্য, গত মাস থেকেই ত্রিপুরায় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এবার প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদেরও স্কুলে আসার অনুমতি দেওয়া হল।

ত্রিপুরার স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় সেখানে প্রথম থেকে পঞ্চম থেকে স্কুল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬৬৭। করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হারও কমে দাঁড়িয়েছে ০.৯৬ শতাংশে। তবে, পড়ুয়াদের স্কুলে আসার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের লিখিত সম্মতি অন্যতম শর্ত হিসাবে রাখা হয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট থেকেই ত্রিপুরায় ষষ্ট থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। গত মাসের ওইদিন থেকেই সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল, মাদ্রাসা-সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। স্কুল খোলার অনুমতি মিললেও, করোনা সংক্রমণের কথা বিবেচনা করে, স্কুলে পড়ুয়াদের বসার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি করোনাবিধি মেনে চলারও নির্দেশ দেওয়া হয়। নিয়মিত পড়ুয়াদের থার্মাল স্ক্রিনিং, স্কুল বিল্ডিংয়ের স্যানিটাইজেশনের মতো সমস্ত করোনাবিধি অনুসরণ করা হয়, সেই দিকটিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

বিপ্লব দেবের সরকারের পক্ষ থেকে স্কুল খোলার কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে যে, দীর্ঘ সময় ধরে স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ থাকায়, পড়ুয়াদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পড়াশোনার ক্ষতির পাশাপাশি মানসিক বিকাশেও এর প্রভাব পড়েছে। সেই কারণেই রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা কমতেই, স্কুল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, ত্রিপুরায় স্কুলছুট পড়ুয়াদের চিহ্নিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ‘নতুন দিশা’ নামক প্রকল্পের অধীনে একটি নতুন কর্মসূচিও শুরু করা হয়েছে। পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরাতে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থাও চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে, ভাগে ভাগে পড়ুয়াদের খাবারের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *