মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
গণেশ চতুর্থীর পুণ্য লগ্নে ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রথম প্রার্থী হিসেবে আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরিয়ে ঠিক বেলা ২টোয় সার্ভে বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ফিরহাদ হাকিমের স্ত্রী, বৈশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায়, নিসপাল সিং রানে।মমতার মনোনয়নকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো।
নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যাওয়ায় আবার নির্বাচনের লড়াইতে মুখ্যমন্ত্রী। এই নির্বাচন অনেকটাই মর্যাদার লড়াই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মমতার নির্দেশে কোভিড বিধি মেনে এবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কর্মী-সমর্থকদের ভিড় কিছুটা কম। তবে, নেত্রীর বাড়ি হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে আজ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হয়েছেন। আজকের পর প্রচারের মাত্রা আরও বাড়বে বলেই অনুমান।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরের উপনির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার পর থেকেই ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। প্রচারে কোনও খামতি রাখছে না তৃণমূল। প্রায় ৮০ শতাংশ দেওয়াল ইতিমধ্যেই ঘাসফুলে সেজে উঠেছে। ‘ভবানীপুর নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগানকেও হাতিয়ার করতে চাইছে তাঁরা। প্রসঙ্গত, মমতা ২০১১, ২০১৫ নির্বাচনে নিজের খাস তালুক ভবানীপুরে বিপুল ভোটে জিতেছিলেন। এবারও মুখ্যমন্ত্রী পদ ধরে রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেতা অত্যন্ত জরুরি। ঘরের মেয়েকে ভবানীপুরের মানুষ আবার জেতান কিনা সেটাই দেখার।
অন্যদিকে, আজ প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী, স্মৃতি ইরানি, বাবুল সুপ্রিয় সহ একাধিক পরিচিত মুখকে প্রচারে কাজে লাগাতে চাইছে তাঁরা। যদিও একুশের বিধানসভায় ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ হেরে যান তৃণমূলের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। ভবানীপুর উপনির্বাচনে সিপিএমের প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। সব মিলিয়ে পুজোর আগেই ভবানীপুরকে কেন্দ্র করে ভোটের বাদ্যি বেজে গেল বলা চলে।