বাংলায় অশনি সংকেত

দক্ষিণ আন্দামান এবং দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ শনিবার আরো শক্তি বৃদ্ধি করেছে বলে জানা যাচ্ছে

দক্ষিণ আন্দামান এবং দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ শনিবার আরো শক্তি বৃদ্ধি করেছে বলে জানা যাচ্ছে। ওই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে ৮ মে রবিবার। আশঙ্কা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের। যার নাম দেওয়া হয়েছে “অশনি”। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল মৌসম ভবন। ভারতের উত্তর-পশ্চিম অর্থাৎ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলের দিকে এই ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসবে।

এই নিম্নচাপের পরিস্থিতির মধ্যে নজর রাখছে প্রশাসন। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা জুড়ে নিম্নচাপ আবহে ১০ মে থেকে ১৩ মে পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ১০ মে থেকে মৎস্যজীবীদের মাঝ সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। যেকোনো সময়ে নিম্নচাপ দিক পরিবর্তন করে বাংলার দিকে ঘুরতে পারে বলে বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলি সচেতন রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।

জেলার প্রতিটি সাব-ডিভিশন এবং ব্লক স্তরে কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি, প্রশাসনের তরফ থেকে পাঁচটি আপৎকালীন তৈরি করা হয়েছে “কুইক রেসপন্স টিম”। একটি টিমে কুড়িজন করে কর্মী থাকবেন। এর মধ্যে সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে মোতায়েন করা হবে সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং কোস্ট গার্ডের সাহায্য নেওয়া হবে।

মৎস্যজীবীরা যাতে মাঝ সমুদ্রে মাছ ধরতে না যান তার জন্য মাইকিং করা শুরু হয়ে গিয়েছে। উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকায় মাইকে আপৎকালীন প্রচার শুরু করেছে প্রশাসন। রবিবার সকাল থেকে আবহাওয়া খারাপ হতে পারে বলে অনুমান। যদি কোন বিপর্যয় এর পরিস্থিতি তৈরি হয় তাই তার আগে থাকতেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রিপল, চাল, ওষুধ, শুকনো খাবার এবং জলের বোতল মজুত করার কাজ চলছে জোর কদমে। জরুরি অবস্থার জন্য হাসপাতালগুলিকে তৈরি থাকার কথা বলা হয়েছে। দুর্গতদের বসবাসের জন্য অস্থায়ী আশ্রয় স্থল থেকে শুরু করে গাছ ভেঙ্গে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসন সর্বদা প্রস্তুত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *