বর্ধমানে জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভ

জেলায় জেলায় বিক্ষোভ জুনিয়র ডাক্তারদের। দিল্লিতে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় বিক্ষোভে সামিল হলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র চিকিত্‍সকরা। বর্ধমান হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আন্দোলনে সামিল হন ওই চিকিত্‍সকরা।হাতে পোস্টার নিয়ে বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র ছাত্রীরা আন্দোলনে নামেন। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি দিল্লীতে তাদের সহ কর্মীদের ওপর অন্যায় ভাবে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে গোটা রাজ্যজুড়ে এই আন্দোলন চলছে বলে জানান তাঁরা।

এক আন্দোলনরত চিকিত্‍সক বলেন, “এই দুই বছর ধরে করোনায় যেভাবে একের পর যে ভাবে চিকিত্‍সক মারা গিয়েছেন এত সৈনিক হয়ত যুদ্ধেও মারা যাননি। যখন যেভাবে বলা হয়েছে চিকিত্‍সকরা এগিয়ে এসেছেন। তারপরও আমাদের ন্যায্য দাবি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। চিকিত্‍সকরা বারবার বলে এসেছেন যে হাসপাতালে আরও চিকিত্‍সক নিয়োগ করতে হবে মানুষের সুবিধার জন্য। কিন্তু সরকার কোনও কথাই কানে তুলছে না। যেবাবে চিকিত্‍কদের মারধর করা হয়েছে, মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে এর জন্য ধিক্কার।

এর আগেও আমরা প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু কোনও কথা কেউ কানে তুলছে না। আসলে সরকারকে বোঝানো উচিত্‍ যে কোনও ডাক্তারদের গায়ে হাত তুললে প্রতিটি ডাক্তার এগিয়ে সহায়তা করতে। ” এদিকে, জুনিয়র ডাক্তারদের এই বিক্ষোভের ফলে আংশিকভাবে ব্যহত হচ্ছে চিকিত্‍সা পরিষেবা। যদিও আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি জরুরী পরিষেবা বিভাগ স্বাভাবিক রয়েছে তবে এই আন্দোলনের ফলে অন্যান্য বিভাগের ক্ষেত্রে সমস্য হতে পারে। উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলবে বলে জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।আক্রান্ত কলকাতা মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত জুনিয়র চিকিত্‍সকরা। গর্ভবতী এক মহিলার চিকিত্‍সা কেন্দ্র করেই ঝামেলার সূত্রপাত হয়। সেই সময় এমার্জেন্সি বিভাগে (Emergency Ward) একাধিক রোগী আসায়, ওই মহিলাকে বসতে বলা হয়েছিল। এই কথা বলার পরই ওই মহিলার পরিবারের সদস্যরা জুনিয়র চিকিত্‍সকদের উপর চড়াও হয়, দুই চিকিত্‍সককে হেনস্থা করা হয়।

হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি ঘোষণা করে জনিয়র চিকিত্‍সকরা। শেষে হাসপাতালের এমএসভিপি এসে চিকিত্‍সকদের নিরাপত্তা দেওয়ার লিখিত আশ্বাস দেন। যদিও, প্রায় ৯ ঘণ্টা পর কর্মবিরতি তুলে নেন চিকিত্‍সকরা। তবে তখন তাঁরা জানিয়েছিলেন তারা জানিয়েছেন, এক মাসের মধ্য়ে যদি নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করা হয়, তবে ফের কর্মবিরতিতে বসবেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *