পার্টটাইম স্কুল শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের দাবি
করোনাকালীন পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্কুল গুলি বন্ধ থাকার জেরে বিভিন্ন স্কুলে যারা পার্ট টাইম টিচার হিসেবে চাকরি করতেন তাদের অনেকেই চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এছাড়াও পার্ট টাইম টিচারদের মাসিক যে সাম্মানিক তা তাদের দৈনিক ক্লাসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়।এই পরিস্থিতিতে পঠন-পাঠন চলছে অনলাইনে।
সেইক্ষেত্রে সঠিক ভাবে নিয়ম মেনে ক্লাস করা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে পুরোপুরি তাদের মাসিক বেতন বন্ধ করে দেওয়ার মতনও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। ফলে তাদের স্থায়ীকরণের দাবি তুলে আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপের অক্ষয়নগর থেকে পথমিছিল করা হল স্কুল পার্ট টাইম টিচার এন্ড এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের(PTSTEWA) পক্ষ থেকে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের এই গৌরবময় দিনে কাকদ্বীপের ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে পথসভা করলেন তাঁরা। PTSTEWA সংগঠনের সদস্যা এবং অস্থায়ী শিক্ষিকা অনুরুপা মাইতি জানান, লকডাউনের ফলে রাজ্যের সকল স্কুল বন্ধ। যদিও বা অনলাইন পঠন-পাঠন চলছে কিন্তু তাঁর সুবিধা নেওয়ার সুযোগ সব ছাত্র ছাত্রীর কাছে নেই।
যার কারণে সঠিক মতন রুটিনমাফিক স্কুলের ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই অবিলম্বে রাজ্য সরকারের স্কুল গুলিকে খোলা উচিত। এছাড়াও স্কুল গুলি বন্ধ থাকার কারণে তাদের মতো যত অস্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন তাদের মাসিক বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকাকে।
কলেজের পার্টটাইম শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যেমন স্থায়ীকরণ করে ৬০ বছর পর্যন্ত কাজের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে ঠিক তেমনি স্কুলের পার্ট টাইম শিক্ষিক শিক্ষকাদেরও স্থায়ীকরণ করতে হবে। নইলে এই পরিস্থিতিতে তাদের আয়ের উত্স শূন্য হওয়ায় ভীষন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তাঁরা। তাঁরা আরও দাবি জানান ,অবিলম্বে রাজ্য সরকার এবং শিক্ষামন্ত্রীর সাথে তাদের আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক।
২০১১ সালে যারা নিয়োগ হয়েছিলেন পার্ট টাইম শিক্ষক শিক্ষিকা হিসেবে তাঁরা বিগত ১০ বছর ধরে রাজ্য সরকার ,শিক্ষা মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন জানিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ফল কিছু পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পথে নেমেছেন তাঁরা।