বাল্যবিবাহ অব্যাহত এখনো

পূর্ব বর্ধমান জেলার শহর বর্ধমানের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের লাকুরডি বিদ্যামন্দির স্কুলে করুন মহামারীর সময় স্কুল বন্ধ থেকে এখনো পর্যন্ত অভিভাবকদের জোরপূর্বক বাল্যবিবাহ প্রবণতা

পূর্ব বর্ধমান জেলার শহর বর্ধমানের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের লাকুরডি বিদ্যামন্দির স্কুলে করুন মহামারীর সময় স্কুল বন্ধ থেকে এখনো পর্যন্ত অভিভাবকদের জোরপূর্বক বাল্যবিবাহ প্রবণতা দেখা গেছে তেমনি একটি ঘটনায়  এই স্কুলেরই সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী স্কুলে এসে মাঝে মাঝেই কান্নাকাটি করত  অবশেষ একদিন প্রধান শিক্ষিকার দেখতে পায় তার কান্নাকাটি তারপরে প্রধান শিক্ষিকা জিজ্ঞাসা করতে না করতেই  শিক্ষিকার কাছে ভেঙে পড়ে ।

 

ছাত্রী টি জানায় তার অসম্মতিতে তার পরিবারের লোকজন বিয়ের দেখাশোনা করছেন সে এখন পড়তে চায় পড়াশোনা করে মানুষের মতন মানুষ হতে চায় আজকে স্কুলের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষিকা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি সেক্রেটারি চাইল্ড লাইন এর কর্মীরা, বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে এবং আত্মীয়-স্বজনদের বোঝান এবং একটি ফর্মে সই করিয়ে লিখিয়ে নেন ভবিষ্যতে ১৮ বছরের নিচে তার মেয়েকে অন্য কোথাও বিয়ে দেবেন না ।স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পাপড়ি সাহা জানান করোনার সময় স্কুল বন্ধ সময় থেকে সপ্তম শ্রেণী অষ্টম শ্রেণী এবং নবম শ্রেণীতে পাঠরত বেশ কিছু ছাত্রীকে তার অভিভাবকরা জোরপূর্বক বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন অল্প বয়সে।

 

তাই আজকে এই মেয়েটির বিয়ে অল্প বয়সে যাতে  না হয় তার জন্য তার উপরিয়াদের কাছে গিয়ে বোঝানো হলো, একটি মেয়ে মা হারা সন্তান আরেকটি মেয়ে একটি অল্প বয়সে ছেলেকে প্রেম করলেও সে জানিয়েছে তার উপযুক্ত বয়স হবার পরে বিয়ে করবেন তা সত্ত্বেও তাকেও জোর করে বাড়ির লোক বিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ একই স্কুলের দুই ছাত্রের সমস্ত বিষয়টি দেখছে বর্ধমান স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পাপড়ি সাহা যাতে আর কোন অল্পবয়সী মেয়ের অল্প বয়সে বিয়ে না দেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *