আবারও গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে

পাঁশকুড়ায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতির আত্মজীবনীমূলক বই প্রকাশ আর তাতেই উঠে এল দলের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিরোধী মূলক কথাবার্তা

পাঁশকুড়ায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতির আত্মজীবনীমূলক বই প্রকাশ আর তাতেই উঠে এল দলের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিরোধী মূলক কথাবার্তা।যা নিয়ে আবারও পাঁশকুড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসে।পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির লেখা আত্মজীবনীমূলক বইতে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ,মূলত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে লেখা রয়েছে উন্নয়ন নিয়ে। লেখা রয়েছে বিধায়কের বিরুদ্ধে ।পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দীপ্তি জানা রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন নিজের লেখা একটি আত্মজীবনীমূলক বই প্রকাশ করেছেন। সেখানে দলের বিধায়ক ও মন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে সমালোচনা করেছেন। পাঁশকুড়ার বাসিন্দা তথা রাজ্যের সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রর ভূমিকা নিয়ে বইয়ের পাতায় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি

 

তিনি পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতাদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তাঁর লেখা বই এর পাতায়,লেখা রয়েছে পাঁশকুড়ার ঝাঁ চকচকে পোষাকধারী নেতা-নেত্রীরা সর্বদা নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত, পাঁশকুড়ার সাধারণ মানুষের হিসাব তারা রাখে না, সকালে ঘুম থেকে উঠে হাত জড়ো করে কয়েকটা ফেসবুকে ছবি ছাড়ে, সকাল-সকাল স্নান সেরে জাতীয়তাবাদী পোষাক ফুঁড়ে বেরিয়ে পড়া সারাদিন ঘুরে ঘুরে মাতব্বরি করা, থানা পুলিশ বা অন্যান্য অফিসে কাজের নামে পকেট ভরা এবং সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসা এই হল পাঁশকুড়ার অনেক পোশাকধারী নেতার বৈশিষ্ট্য। এমনই কটাক্ষ রয়েছে তাঁর বইয়ের পাতায়সেই বইয়ের পাতায় লেখা রয়েছে ১৯৫২ সালে মন্ত্রী পরিষদী গঠনের পর ৬৯ বছর কেটেছে, তাঁর মধ্যে ৩০ বছর পাঁশকুড়ার অনেক নেতা সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন, কিন্তু পাঁশকুড়ার চেহারা বদলায়নি

 

পাঁশকুড়ার ব্লক তৃণমূল সভাপতি দীপ্তি কুমার জানার রাজনৈতিক আত্মজীবনী ‘পাঁশকুড়ার রাজনৈতিক ঘটনাবলী ও আমি’ বইতে পাঁশকুড়ার উন্নয়ন ও শাসকদলের নেতৃত্ব নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন ব্লক সভাপতি।আর সেখানেই তাঁর আক্রমনের মুখে পড়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক ফিরোজা বিবি। বিধায়কের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে এই বইয়ের পাতায়!লেখা রয়েছে বর্তমান সরকার পাঁশকুড়ার উন্নয়নের দাবি  পূরণ করতে পারেনি। পাঁশকুড়ার সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে কথা বলার কোনও নেতা বা জনপ্রতিনিধি নেই।এমন কিছু তাঁর লেখায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেও পাঁশকুড়া তৃণমূল নেতৃত্বরা।যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া পাঁশকুড়া পশ্চিমের গর্ব মমতা গ্রুপে পোস্ট হয় একটি লেখা।

 

এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।ওপর নেতৃত্বদের বলবো ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।তবে এ বিষয়ে দিপ্তী জানার দাবি দলের ক্ষতি হবে এমন কিছু লিখিনি, ১৯৫২সাল থেকে মন্ত্রী পরিষদ গঠন হয়েছে,৬৯ বছর কেটেছে,৩০বছর পাঁশকুড়ায় মন্ত্রী আছে অথচ পাঁশকুড়ার মানুষের তেমন কোনো ডেভলেপমেন্ট ঘটেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *