জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পাণ্ডবেশ্বর
পাণ্ডবেশ্বরে জমির মালিককে মারধরের অভিযোগ কুমারডিহির বি কোলিয়ারির সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে খনির কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। পান্ডবেশ্বরের কুমারডিহির বি কোলিয়ারিতে খোলামুখ খনি এবং কনটেনিয়াস মাইনরের জন্য জমি অধিগ্রহণ-এর কাজ চলছে।গ্রামের বহু জমির মালিকের জমি রয়েছে এই প্রকল্পে। তাই জমির বিনিময়ে চাকরির দাবিতে বারবারই জমির মালিকরা খনি কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
চলতি মাসের ২১ তারিখ জমির বিনিময়ে চাকরির দাবি নিয়ে কোলিয়ারির এজেন্টকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। সেই মুহূর্তে কোলিয়ারির এজেন্ট জমির মালিকদের কাছে পাঁচ দিন সময় চান। কিন্তু পাঁচ দিন অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসী তথা জমিদাতাদের।
তাই রবিবার সকালবেলা জমিদাতা বাপ্পা মুখার্জি জমির বিষয়ে জানবার জন্য কোলিয়ারির সার্ভেয়ার ডিপার্টমেন্টে সার্ভেয়ারের সাথে দেখা করতে যান। সেখানে পদস্থ সার্ভেয়ার অফিসার তুষার কান্তি মণ্ডল বাপ্পাদিত্যের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। পরে সেখান থেকে বাপ্পাদিত্য মুখার্জি বাড়ি ফিরবার পথে ,সার্ভেয়ার তুষারকান্তি মণ্ডল জনা ১৫ গুন্ডা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বাপ্পা বাবুর ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ।
অতর্কিত এই হামলায় আহত হন বাপ্পা বাবু। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে গ্রামের মানুষ। খনি চত্বরে প্রচুর গ্রামের মানুষ এবং জমিদাতারা ভিড় করেন এবং বন্ধ করে দেওয়া হয় খনির কাজ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হবে বলেও জানান জমির মালিকরা।
জমির মালিকদের দাবি, অভিযুক্ত ওই অফিসার যিনি বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে এসে গুন্ডামি করছেন তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই এবং তাঁকে কোলিয়ারি থেকে অবিলম্বে অন্য জায়গায় বদলি করা হোক। স্থানীয় বাসিন্দা প্রবীর ব্যানার্জি অভিযোগ করেন ,এলাকার জমিদাতাদের থেকে একটা চাকরির জন্য তিন লক্ষ টাকা করে ঘুষ চাওয়া হচ্ছে।
প্রবীরবাবুর আরও মারাত্মক অভিযোগ করেন যে, গ্রামবাসীরা চায় শিল্প হোক কিন্তু ইসিএল কর্তৃপক্ষ একপ্রকার জোর করে জমির মালিকদের ভয় দেখিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছে। যদিও এই ব্যাপারে কোলিয়ারির পার্সোনাল ম্যানেজার পল্লব খাশনবীশ জানান, ‘এ ঘটনায় কোম্পানির কোনও দায় বর্তায় না। এটি দুজনের নিজস্ব ঝামেলা যেটার আঁচ পড়েছে খনির মধ্যে’।