পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বরে বড়সড় দুর্ঘটনা
পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বরে বড়সড় দুর্ঘটনা। অবৈধ কয়লা উত্তোলনে নিয়োজিত ৫ জন খনিতে পড়ে থাকা ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪ জন। একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
মৃতদের নাম শ্যামল বাউরি, পিংকি বাউরি, নটওয়ার বাউরি এবং আন্না বাউরি।খবর পেয়ে লাউদোহা ও পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। উদ্ধার অভিযান চালিয়ে জেসিবির সাহায্যে ধ্বংসস্তূপ সরানো হয়। এরপরই সম্ভব হয় দেহ উদ্ধার করা। ঘটনার খবর পেয়ে অনেক জনপ্রতিনিধিও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ঘটনাস্থল ঘিরে বিপুল মানুষের ভিড় জমেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, দুর্গাপুরের ফরিদপুর ব্লকের মাধাইচক ওসিপিতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে কয়লা উত্তোলন চলছে। এ সময় খনির ভেতরে কয়লার পাথর পড়ে যায়। এর মধ্যে আটকা পড়েছেন ৫ জন। তাদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন এবং একজন আহত ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত কিশোর বাউরীকে চিকিত্সার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আনন্দ এলাকার এসিপি তারিক আনোয়ার ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হবে। এছাড়াও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি অভিষেক গুপ্ত এবং অন্ডালের এসিপি তাহির আনোয়ারও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘দারিদ্র্যের কারণে এলাকার অনেকেই এমনটা করে থাকেন। এ দিনও টাকার জন্য অবৈধভাবে খনিতে কয়লা উত্তোলন করতে আসে পরিবারটি। প্রাথমিকভাবে ভূমিধসের কারণেই মৃত্যু বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করছেন তারা ।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে খনিতে পড়ে এক ইসিএল কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছিল। আসানসোলের কেন্দা খনির ২ নম্বর গর্ত ভরাটের কাজ দেখতে গিয়েছিলেন ইসিএলের আধিকারিকরা। কয়েকদিন ধরে ওই খনিতে আগুন জ্বলছিল। সেই সময়ে মাটির নিচে চাপা পড়েন ইসিএলের সিনিয়র ওভারম্যান অজয় কুমার মুখার্জি।