ঐতিহ্যবাহী সাঁজি উৎসব
পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের জ্ঞানদাস কান্দরার ঐতিহ্যবাহী সাঁজি উৎসব শারদীয়া কৃষ্ণা নবমী থেকে শুক্লা প্রতিপদ পর্যন্ত আটদিন ব্যাপী মহাসমারোহে ভাগবত পাঠ শ্রীকৃষ্ণলীলা কীর্তন ও রামায়ণ সহযোগে অনুষ্ঠিত হয়। ভক্তদের জন্য নিত্য মহাপ্রসাদের ব্যাবস্থাও থাকে। বর্তমানে কান্দরার বৃন্দাবনচন্দ্র পাটবাড়ী এবং রাধাকান্ত পাটবাড়ি এই দুটি পাটবাড়িতে এই উৎসব এই সময় অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও মাঘীপূর্ণিমায় রাধাবল্লব পাটবাড়িতেও এই এই উৎসব আয়োজিত হয়।
যদিও কালের নিয়মে তদাদুপেক্ষা বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও অনেক সংকুচিত হয়েছে। সাঁজি উৎসব ভগবানের উদ্দেশ্যে ভক্তের সজ্জা বা নিবেদনের আকুতির জন্য প্রচলন সেজন্য সাঁজি উৎসব নামে প্রচলিত। রাধাকৃষ্ণের মিলন গানের বা ধুলট গান এর মধ্য দিয়েই এই উৎসব শেষ করা হয়।
প্রচলিত আছে চৈতন্য মহাপ্রভু র সমসাময়িক যুগ থেকে এই উৎসব মঙ্গল ঠাকুর নামে এক বৈষ্ণব সাধক বিন্দাবন থেকে ঘুরে এসে বৃন্দাবনের আদলে এই কাদরা গ্রামে প্রথম চালু করেন।
তখন থেকে এখনো পর্যন্ত বংশ পরম্পরায় এই পুজো হয়ে আসছে।
এ ছাড়াও ওখানকার সেবাইত গণদের কাছ থেকে জানা যায়, “এই উৎসব বৃন্দাবনে এবং পশ্চিমবাংলার এই কাদরা গ্রামেই প্রচলিত আছে।”
বর্তমানে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর পদধূলি রজ্ঞিত গৌরাঙ্গডাঙ্গায় বিশালাকারে এই মেলা বসে।