মাদ্রাসায় সুপারিনটেনডেন্ট চেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন অভিভাবকরা
মালদা :- এবার মাদ্রাসায় সুপারিনটেনডেন্ট চেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন একদল অভিভাবক।গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর হাতে তারা তাদের আবেদনের কপি তুলে দেন বলে জানা গিয়েছে।মালদার রতুয়া-১ ব্লকের বাটনা জেএমও সিনিয়র মাদ্রাসায় দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে সুপারিনটেনডেন্ট নেই বলে জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।
তাদের দাবি, বর্তমান পরিচালন সমিতি ও ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক যোগসাজশ করে এবারও সুপারিনটেনডেন্ট চেয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তরে শূন্যপদটি জমা দেননি। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন চাঁদমুনি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান আশফাকুর রহমান ওরফে বাবলু, ইউসুফ আলী, মোহাম্মদ জাহিরুদ্দিন ও ইমদাদুল হক। তারা মন্ত্রীকে বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে পোষ্ট গ্রাজুয়েশন পর্যন্ত পড়ানো হয়। এই মাদ্রাসা চত্বরেই রয়েছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।
সুপারিনটেনডেন্ট না থাকায় মাদ্রাসা পরিিচালনায় ও পঠন-পাঠনে অনিয়ম ও দূর্নীতি বাসা বেঁধেছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। বাটনা হাই মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষক মেসের আলী অভিযোগ করে বলেন, এই মাদ্রাসাটির সমিতি ও ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী, সবুজ সাথী, মিড-ডে-মিল সহ একাধিক প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে। দুর্নীতির বিষয়গুলি ধামাচাপা দিতেই তারা মাদ্রাসায় সুপারিন্টেন্ডেন্ট এর শূন্যপদটি জমা দেননি বলে অভিযোগ।
অপর এক অভিভাবক কামরুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প রূপায়ণে ছাত্রছাত্রীদের কাছে যে টাকা নেওয়া হয় সে ব্যাপারে প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাদের মাদ্রাসা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। মাদ্রাসাটির সুস্থ পরিচালনায় প্রশাসন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তর এখনই কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাদ্রাসার টিআইসি আনোয়ারুল হক।