১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূল নেতা ও সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে
রিতা ভট্টাচার্য্য :কালনা – ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির অভিযোগ উঠল কালনার কুতুবপুর গ্রামের তৃণমূল নেতা ও সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কাজ না করিয়ে তৃণমূল নেতা আব্দুল মালেক শেখ এবং সুপারভাইজার স্বপন বারিক মিলে প্রায় ৯৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে কালনার কুতুবপুর গ্রামের সিপিআইএম পার্টির তরফে গ্রামীণ সভা বসিয়ে স্বপন বারিকে প্রাণের হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী জোরপূর্বক টাকা ফেরতের মুচলেখা লিখিয়ে নেন সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকরা। এমনটাই দাবি করেছেন স্বপন বারিক। এই দাবি নিয়ে কানলা থানা পুলিশের দ্বারস্থ হলো ওই তৃণমূল নেতা ও সুপারভাইজার।
একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেতা আব্দুল মালেক শেখ এর নির্দেশে স্থানীয় সুপারভাইজার স্বপন বারিক কাজ না করে তার স্ত্রী এবং ছেলের নামে 393 টা কাজের মজুরি আত্মসাৎ করে। এমনি অভিযোগ তুললো স্থানীয় সিপিআইএম কর্মীরা জানতে পারেন, পুরো বিষয়টি সরকারকে ভুল বুঝিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছে তৃণমূল কর্মী এবং সুপারভাইজার মিলে। এই ঘটনা ঘটার পরে গতকাল স্থানীয় সুপারভাইজার স্বপন বারিক এবং তার দুই সহযোগীকে বসিয়ে জোরপূর্বক মুচলেকা লিখে নেওয়ার অভিযোগ সিপিআইএম কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। মুচলেকা লেখার সুপারভাইজার স্বপন বাড়িকের দাবি গতকাল মুচলেখা না লিখে দিলে ঘটনাস্থলেই খুন করা হতো তাকে। এক প্রকার জোরপূর্বক ই মুচলেকা লিখতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
পাশাপাশি এ বিষয়ে স্থানীয় সিপিএম নেতাদের দাবি জোরপূর্বক কোন মুচলেখা লেখানো হয়নি।বিষয়টি গ্রামবাসীদের সামনে তারা স্বইচ্ছায় টাকা ফেরত দেবেন বলে মুচলেকা দিয়েছেন। এ বিষয়ে তৃণমূল কালনা দুনম্বর এরিয়ার তৃণমূল ব্লক সভাপতি প্রণব রায় দাবি ওই সুপারভাইজার ও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা কোন দুর্নীতির সাথে যুক্ত নয়। ভুল বুঝে তাদের ওপরে দোষারোপের চেষ্টা করা হচ্ছে।