সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বিক্ষোভ মিছিল আনাময় হাসপাতালে

করোনা  আতঙ্কে দিসে হারা দেশ তথা আমাদের রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন  covid -১৯ এর হাত থেকে রাজ্যবাসীকে কি করে মুক্ত রাখা যায় সেই কাজে।এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে ডাক্তার ,নার্স ,সাস্থকর্মী ও পুলিশ কর্মীরা দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন। মমতা ব্যানার্জী বলেছেন কোনো ভাবেই কোনো আন্দোলন করা যাবে না। করা হলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে। কিন্তু বর্ধমান অনাময়  হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দেখা গেলো অন্য চিত্র।অনাময় হাসপাতাল এ হার্ট এর রুগী সহ বহু মুহুর্ষ রুগী ভর্তি রয়েছেন বিভিন্ন বিভাগে ।



কিন্তু সে সব পরোয়া না করে ,সোশ্যাল ডিসটেন্স না মেনে ,মুখ্যমন্ত্রীর কথা কে গুরুত্ব না দিয়ে অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বাইরে এবং পরে ভিতরে রীতিমতো মারমূখী মনোভাব নিয়ে মিছিল করলো I N T T U C.মূলত এজেন্সির মাধ্যমে কর্মরত  এই হাসপাতালের  এক  সিকিউরিটি  মারা যায়। ফলে সেই জায়গায় অন্য একজনকে নিয়োগ করে সিকিউরিটি এজেন্সি। অশান্তি শুরু সেই নিয়োগকে কেন্দ্র করে। I N T T U C বিক্ষোভ করে কেন ওই জায়গায় তার পরিবারের কাউকে না নিয়ে হাসপাতাল সুপার অন্য কাউকে নিয়োগ করলো ?যদিও সিকিউরিটি নিয়োগ এর পুরো দায়িত্ব এজেন্সির, এখানে সুপারের কি ভূমিকা থাকতে পারে, বলে মনে করছেন সমাজের বুদ্ধিজীবীরা।


 এদিন অভিজিৎ নন্দীর নেতৃত্বে হাসপাতাল চত্বর কার্যত ধুমধুমার হয়ে ওঠে। বিষয় যায় হোক ,এই পরিস্থিতে কেন হাসপাতাল এ  বাইরের এতো লোকজন নিয়ে রুগীদের কথা না ভেবে ,সোস্যালডিস্টেন্সে এর কথা না ভেবে মিছিল ,স্লোগান উত্তেজনা সৃষ্টি করা হলো তার কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। যার নেতৃত্বে পুরো বিষয়টা  এদিন হাসপাতাল চত্বরে ঘটলো তিনি কার মৃত্যুর জন্য মিছিলি করতে এসেছেন নাম টায়  জানতেন না। পরিস্থিতি যায় হোক পুরো বিষয়টা হাসপাতাল সুপারের সাথে বসে কথা না বলে উত্বেজনা সৃষ্টি করে, নিয়ম ভঙ্গ করে, কেন এমন কর্মসূচি নেওয়া হলো সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না সমাজের বিশিষ্ট জনেরা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *