শুভেন্দু ওঁর বাবাকে গিয়ে শেখাক বললেন কুণাল ঘোষ
যত দ্রুত সম্ভব মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করতে হবে। শুক্রবার ঠিক এই মর্মেই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানোর প্রস্তুতি আগেই নিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক। এ দিন বেলা ১২টা ১২ মিনিট নাগাদ স্পিকারের দফতরে একটি চিঠি পাঠান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। স্পিকারের ব্যক্তিগত সচিব এই চিঠি গ্রহণ করেন। কিন্তু এত তাড়াহুড়ো কেন? রাজনৈতিক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে অন্য সমীকরণ।
গত সপ্তাহের শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান দিয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। সে দিনই দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিলেন তিনি। বৃহস্পতিবারই এই মর্মে প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও সেদিন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেননি তিনি। বিধানসভার সচিবালয়ের চিঠিপত্র জমা নেওয়ার দফতর বন্ধ থাকায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান তিনি শুক্রবার ফের চেষ্টা করবেন। এরপর শুক্রবার তিনি সরাসরি চিঠি পাঠান অধ্যক্ষের দফতরে। দিনক্ষণ উল্লেখ করে শুভেন্দু জানিয়েছেন, যেদিন থেকে মুকুল রায় তৃণমূল ভবনে গিয়ে শাসকদলে যোগদান করেছেন, সেদিন থেকেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হওয়া উচিত। স্পিকার স্বয়ং উপস্থিত না থাকায় সেই চিঠি গ্রহণ করেন তাঁর ব্যক্তিগত সচিব। তবে পরে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসার কথাও রয়েছে।
কুণাল ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীকে এক হাত নিয়ে বলেন,রাজভবনের বারান্দায় ঘোরাঘুরি না করে নিজের বাবাকে আগে জ্ঞান দেওয়া উচিত। এদিক ওদিক না ঘুরে দলত্যাগ বিরোধী আইনটা আগে শুভেন্দু ওঁর বাবাকে গিয়ে শেখাক। বিধায়ক পদ খারিজের ব্যাপারটা দেখবেন স্পিকার। স্পিকারের কাছে সবকিছু জমা পড়লে স্পিকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। এর সাথে রাজ্যপালের কোনো সম্পর্ক নেই। আর শুভেন্দুর এদিক ওদিক ছুটেও লাভ নেই। শুভেন্দুর বাবা অর্থাত্ শিশির অধিকারীর নামে লোকসভার স্পিকারের কাছে চিঠি জমা রয়েছে। তৃণমূলের দয়ায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায় লোকসভা গিয়েছিলেন শিশির অধিকারী।