বাংলার রেড জোন তিন ভাগে ভাগ হবে, মিলবে কিছু ছাড়:সোনার দোকান, খাবারের দোকান, ইলেকট্রনিক্স দোকান খুলতে পারে-
সৌজন্যে:ইন্টারনেট –রেড জোন মানেই এলাকা পুরোপুরি সিল৷ অনেকটা বন্দিদশা অবস্থা৷ এবার সেই রেড জোনকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হবে৷ মঙ্গলবার নবান্ন থেকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷লকডাউন আরও দীর্ঘ মেয়াদি স্তরে কার্যকর করার ক্ষেত্রে শর্ট টার্ম, মিড টার্ম ও লং টার্ম পরিকল্পনা করতে হবে।
রেড জোনের কোন ভাগে কতটা ছাড়,দেখুন একনজরে:
রেড জোন এ: কোনও ছাড় নয়৷ রেড জোন বি: সামাজিক দূরত্ব মানলে ছাড়৷ রেড জোন সি: কনটেন্টমেন্ট জোনের বাইরের এলাকায় প্রায় সব কিছুতেই ছাড় দেওয়া হবে৷
তবে রেড জোনের তিনটি ভাগের কোথায় কী ছাড় দেওয়া হবে তা ঠিক করবে পুলিশ৷ আগামী তিন দিনের মধ্যে সবকটা জোন ভাগ করবে পুলিশ৷
বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রেও একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ বেসরকারি বাস নিজের মতো ভাড়া ঠিক করবে৷ সরকার সেখানে হস্তক্ষেপ করবে না৷ আগেই বলা হয়েছে গ্রিন জোনে বাস ওট্যাক্সি জেলার মধ্যে চলবে৷
মমতা এদিন আরও বলেন, সোনার দোকান, খাবারের দোকান, ইলেকট্রনিক্স দোকান খুলতে পারে৷ তবে সেখানে ভিড় হবে না৷ ১২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত খাবার দোকান খোলা রাখা যাবে৷বাইরে থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের রাজ্যেই কাজ দেওয়া হবে। সেই নির্দেশ জেলাশাসকদের দেওয়া হয়েছে। সরকার চায় ১০০ দিনের কাজ, সোনার কাজ, ক্ষুদ্রশিল্পে নতুন লোক আসুক৷এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে এখনই বেশ কিছু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মঙ্গলবার নবান্নে একথাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা রুখতে কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে বিধিনিষেধ থাকবে। তবে অন্য এলাকাগুলিতে যাতে আর্থিক কর্মকাণ্ড শুরু করা যায় সেব্যাপারে তৎপরতা নিচ্ছে সরকার। বিড়ি শিল্পে বর্তমানে ৫০ শতাংশ শ্রমিক কাজ করছেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সিনেমা-সিরিয়ালের শুটিংয়ের ক্ষেত্রে এডিটিং-ডাবিং চালু হবে। তবে নতুন শুটিং নয়। তবে কী কী খোলা হবে, সেটা স্থানীয় প্রশাসন স্থির করবে। জেলার ক্ষেত্রে জেলাশাসক স্থির করবেন। আর কলকাতার ক্ষেত্রে পুলিস কমিশনার ঠিক করবেন। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।