“তৃণমূলের হার নিশ্চিত তাই এত অভিযোগ”বললেন মোদি
হারের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দিদি। স্বীকার করে নিন। খেলতে নেমে অ্যাম্পায়ারের বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ করেন। তার মানে বুঝে নিতে হবে দিদির খেলা শেষ। ২ তারিখ বিজেিপ সরকার গড়বে বাংলায়। নতুন মুখ্যমন্ত্রী যেদিন শপথ নেবেন সেদিন তিনি আসবেন বলে হরিপালের সভা থেকে মমতাকে একের পর এক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে জানিয়ে গেলেন মোদী।বাংলায় দুই দফা নির্বাচন শেষ হয়েছে সবে। শাসক-বিরোধী দুই পক্ষকেই এখনও ছয় দফা লড়াই চালাতে হবে। আর দুই পক্ষই চাইছে একে অন্যের মনোবলে ধাক্কা দিতে হারের অঙ্ক সামনে এনে। আজ বিজেপির হয়ে তৃণমূলকে আজ হুগলির হরিপালেরর সভা থেকে সেই ধাক্কাটাই দিলেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর যুক্তি, তৃণমূলের অভিযোগের পাহাড় হারের ভয় থেকেই।
নরেন্দ্র মোদি এ দিন বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল নির্বাচন কমিশন বা নিরাপত্তাবাহিনীর দিকে অভিযোগ তুলছে নিজদের সমস্যা আছে বলেই। তাঁর কথায়, “খেলার মাঠে কোনও খেলোয়াড় যদি আম্পায়ারের দিকে আঙুল তোলে, তাহলে বুঝতে হবে তাদের ত্রুটি আছে। আসলে তাঁর খেলা শেষ।” এদিনও বারংবার মোদির গলায় ছিল সেই চেনা সুর, “দিদি ও দিদি….” মোদি বললেন, আপনার হার নিশ্চিত। আপনি স্বীকার করুন। হুগলির মানুষের আওয়াজ শুনুন। নির্বাচন খেলা নয়, গণতন্ত্র খেলা নয়, গণতন্ত্র মানুষের সেবার পথ। মানুষের উন্নতির পথ। আপনি সবই ভুলে গিয়েছেন। বাংলার লোকের সঙ্গে তাই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।” আরামবাগ থেকেই মোদির আরও অভিযোগ, সিঙ্গুরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল বারংবার বলেছে, বিজেপির সভায় টাকা দিয়ে লোক আনা হচ্ছে। মোদি বললেন এই দাবিটাই বাঙালির পক্ষে অগৌরবের। তাঁর কথায়, “আপনি বাংলার মানুষের অপমান করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন টাকা নিয়ে লোক আনা হচ্ছে। আপনারা টাকার বিনিময়ে এসেছেন কিনা জানান। কেউ তাদের কি কিনতে পারে নাকি! এ কথা বলে বাংলার জনতাকেই অপমান করছেন। বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না, আমাকে অপমান করুন। ওরাই আপনাকে মসনদে বসিয়েছিল।”