করোনা রোগীদের জন্য সেফ হোম

মালদাঃ-মালদহ জেলার হরিশচন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য সেফ হোম খোলা হয়েছে। খোলা হয়েছে ২৪ শয্যাবিশিষ্ট সেফহোম। এবার বসানো হলো অক্সিজেন প্লান্ট। আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে পরিষেবা। করোনা আবহে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে এলাকাবাসী। খুশি চিকিৎসক মহল। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে করোনা মহামারী কে মোকাবিলা করতে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হলো। বেঙ্গল অম্বুজা ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যৌথ উদ্যোগে এই অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হচ্ছে বলে খবর। জেলায় গ্রামীণ হাসপাতালে এ ধরনের অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর নজির খুব কম রয়েছে। জেলা হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থাকলে মালদা জেলার অন্যতম ব্যস্ততম মহাকুমা চাঁচলের গ্রামীণ হাসপাতাল গুলির মধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের সর্ব-প্রথম উন্নত মানের অটোমেটিক অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হলে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই এই অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর সম্পূর্ণ যন্ত্রপাতি হাসপাতালে এসে পৌঁছেছে। কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে ইনস্টলেশনের। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই অক্সিজেন প্লান্ট কাজ শুরু করে দেবে বলে খবর।

স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রতিম শুকুল বলেন,” অক্সিজেন প্লান্ট বাসায় আমরা খুব আনন্দিত। এতে হরিশ্চন্দ্রপুরের মানুষের খুব সুবিধা হবে। এতদিন অক্সিজেন আনতে আমাদের দূরে যেতে হতো। করোনা আবহে অক্সিজেনের কালোবাজারি হয়েছে। এখন দেখে সেই সব অসুবিধা দূর হবে। সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।”

হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অমল কৃষ্ণ মণ্ডল জানান,” রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানাচ্ছি। একটি গ্রামীণ হাসপাতাল এ অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হচ্ছে। এতে মানুষের খুব সুবিধা হবে। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং জেলাশাসককে অশেষ ধন্যবাদ। অক্সিজেনের জন্য মুমূর্ষু রোগীকে ৯০ কিলোমিটার দূরে মালদা শহরে যেতে হতো। সেই সমস্যা দূর হবে। আমরা খুব আনন্দিত।”

হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু বলেন,” হরিশ্চন্দ্রপুর জেলার একটি প্রান্তিক এলাকা। সেই এলাকার গ্রামীণ হাসপাতাল এ অক্সিজেন প্লান্ট বসছে। নিঃসন্দেহে দারুন উদ্যোগ। জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তরকে ধন্যবাদ। এবার থেকে ২৪ ঘন্টা অক্সিজেন পরিষেবা দেওয়া যাবে।হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে দুই ব্লকের বহু রোগী দৈনন্দিন ভর্তি হয়। ২৪ ঘন্টা এবার থেকে অক্সিজেন পরিষেবা পাওয়া যাবে। যেটা আগে সমস্যা ছিল। ফলে আনন্দিত এলাকাবাসী থেকে শুরু করে চিকিৎসক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *