করোনা পরিস্থিতিতে সমস্যায় জলপাইগুড়ি জেলার কুটির শিল্পের শিল্পীরা

দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও চলছে করনা পরিস্থিতি। করোনর প্রথম ঢেউ পার হলেও এখন চলছে দ্বিতীয়৷ দ্বিতীয় ঢেউ এখনো স্বাভাবিক হতে না হতেই আবার জেলায় তৃতীয় ঢেউ আসার সম্ভাবনা সুতরাং করোনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে । আর এতে সমস্যায় পড়েছেন জলপাইগুড়ি জেলার কুটির শিল্পীরা। দীর্ঘ দিন ধরে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি চলায় কোন রকম কোথাও মেলা না করতে পেরে পথে বসেছেন কুটির শিল্পের শিল্পীরা। জেলায় প্রায় ৫০০ র মত শিল্পী আছেন । তার মধ্যেই অনেকেই এখন অন্য পেশার সাথে যুক্ত হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। কেউ করছেন সবজি বিক্রি, কেউ চালাচ্ছেন অন্যের টোটো,,কেউবা আবার রঙ মিস্ত্রীর সাথে কাজ করছেন।

বেত শিল্পী মিঠু দাস বলেন, সংসারে মা, বাবা দুই বোন নিয়ে আমাদের পরিবার। পরিবারের প্রধান উপার্জন ব্যাক্তি আমি । প্রায় দুই বছর ধরে আমরা সমস্যায় আছি। আগে বেতের সামগ্রী বানিয়ে বিভিন্ন মেলায় বিক্রি করে সংসার চালাতাম। এখন অন্যের দোকানে কাজ করে সংসার চালাতে হচ্ছে।এতে বাড়ির সংসারের খরচ চালাতে হিমসিম খাচ্ছি। আর এক বেত শিল্পী কালা চাঁদ রায় বলেন ,আমাদেরও পরিবারে অনেক লোক এক সাথে থাকি করোনা পরিস্থিতি তে সমস্যায় পড়েছি। বেতের কাজটা ধরে রাখতে টুকটাক করছি বেশীর ভাগ সময় শহরে টোটো চালিয়ে সংসার চালাচ্ছি ।

অন্যদিকে কুঠির শিল্প বা হস্ত শিল্পর সাথে যুক্ত রিতা চৌধুরী ও টুম্পা দে বলেন আমরা রাজ্যের যে কোন জায়গায় মেলায় হাতে তৈরী বাচ্চাদের খেলনা, পুথির ব্যাগ , পাঠের তৈরী মাট, ওয়াল ম্যাট, চটের ব্যাগের স্টল দিতাম। করোনা পরিস্থিতিতে মেলা বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছি । সামনে দুর্গাপুজা কি হবে জানিনা। টুক টাক হাতের কাজ করেও সংসার চলছে না। সমস্যায় আছি সরকার যদি কোন রকম সাহায্য করত তাহলে খুব ভাল হত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *