কোচবিহারের রাসমেলা : নির্জলা উপবাস করে রাসচক্র ঘোরালেন জেলাশাসক


রা
জা নেই, নেই তাঁর রাজ্য শাসনও। তবুও রাজ নিয়মেই আজও পরিচালিত হয় কোচবিহার দেবত্র ট্রাষ্ট বোর্ডের এই রাসযাত্রা।
মহারাজাদের সময়কালে রাসচক্র ঘুরিয়ে সূচনা হত কোচবিহারের রাসমেলা র। আজও পরম্পরা মেনে জেলাশাসক এই মেলার সূচনা করেন রাসচক্র ঘুরিয়েই।
নিয়ম মানতে দিনভর নির্জলা উপবাস করে থাকলেন কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাডিয়ান। এটাই নিয়ম, এটাই প্রথা।
আজও সেই ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে কার্তিকী পূর্ণিমায় বাড়িতে রাসচক্র ঘুরিয়ে মহারাজাদের কুলদেবতা মদনমোহন রাসযাত্রার সূচনা হয়।
মঙ্গলবার এই চক্র ঘুরিয়েই কোচবিহারের রাসমেলা -র সূচনা করেন জেলাশাসক পবন কাডিয়ান। মানুষের বিশ্বাস, এই চক্র ঘোরালে পুণ্য হয়।
এই দিন তাঁকে রাজমর্যাদা দেওয়া হয়। যাগযজ্ঞ ও পুজো শেষে এই রাসচক্র ঘোরান তিনি। এই সন্ধ্যাতেই কোচবিহার পুরসভা পরিচালিত রাসমেলারও সূচনা হয়।
১৮১২ সালে কোচবিহারের মহারাজা হরেন্দ্র নারায়ণ এই রাসযাত্রার সূচনা করেন। তৎকালীন কোচবিহার রাজ্যের রাজধানী ভেটাগুড়িতে স্থানান্তর হয়।
এই উপলক্ষে কোচবিহার শহরের এক বিরাট অংশ জুড়ে মেলার আয়োজন হয়, যা উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম  বৃহৎ মেলা বলে পরিচিত।
সংহতির এক অনন্য নজির এই রাসচক্র। হিন্দু, মুসলিম ও বৌদ্ধ সংস্কৃতির আদলে তৈরি এই রাসচক্র। বংশ পরম্পরায় এই চক্র নির্মাণ করে আসছেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী আলতাফ মিঞা।
মেলা উপলক্ষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ১৮ নভেম্বর কোচবিহারে আসবেন বলে জানা গেছে।
মেলা উপলক্ষে সেজে উঠেছে গোটা কোচবিহার শহর। নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে যান চলাচল। বাড়ানো হয়েছে শহরের নিরাপত্তাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *