জণগণের কাজ করবো বলে জনপ্রতিনিধি হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম
পশ্চিম মেদিনীপুর:- কল্যান মন্ডল:দলবদলের খেলা অব্যাহত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ীতে। ২১ শে বিধানসভা নির্বাচনের পর কেশিয়াড়ীর বিধায়ক পরেশ মুর্ম্মূ বিপুল ভোটে জয়লাভ করার পর ঘাসফুল শিবিরে যোগদান পর্ব চলতে থাকে। যদিও পঞ্চায়েত সমিতি গঠন হওয়ার কথা থাকলেও তা কার্যকরী হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনে সামনের সারিতে প্রথম থেকেই ছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব ফটিকরঞ্জন পাহাড়ী। এদিন সেই তৃনমূল নেতৃত্ব ফটিকরঞ্জন পাহাড়ী, জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামণি মান্ডির হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন বিজেপি পরিচালিত বাঘাস্তি ৫ নং অঞ্চলের প্রধান সহ বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত।
ফটিকরঞ্জন পাহাড়ী বলেন, বেশ কিছু পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান সহ মানুষজন তৃণমূলে যোগদানের আবেদন করেছিলেন। সেইমতো এদিন করোন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দলীয় কার্যালয়ে ধাপে ধাপে যোগদান করানো হয়। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন কিষাণ ক্ষেতমজুর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব ফটিকরঞ্জন পাহাড়ী, জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামণি মান্ডি।
নছিপুর ৬ নং অঞ্চলের বিভিন্ন বুথ এলাকার প্রায় একশোর অধিক বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে বলে দাবী তৃণমূলের। ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে নিজে যোগদান করার পর বিজেপি পরিচালিত বাঘাস্তি পঞ্চায়েতের প্রধান রুমি বেরা গিরি বলেন জণগণের কাজ করবো বলে জনপ্রতিনিধি হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম। তিনি বলেন, প্রধান হিসেবে বিজেপিতে থেকে কাজ করেছি। এই পরিস্থিতির মধ্যে বিজেপির কাজ করার কিছু থাকলো না। তাই তৃণমূলে এসে আমি বেশী করে কাজ করতে চাই। এমনটাই জানান নবাগত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান।
সবমিলিয়ে বিরোধীশূণ্য গ্রাম পঞ্চায়েত হয়ে গেল বাঘাস্তি ৫ নং অঞ্চল এমনটাই মত তৃণমূলের। তবে আগামী দিনে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কতটা উন্নয়ন হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।